RG Kar Protest। ‘আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে গ্রেফতার করার….’

Spread the love

একটা সময় বাংলা গানের দুনিয়ার অতি পরিচিত নাম ছিলেন মেহুলি ঠাকুর। শক্তি ঠাকুরের বড় মেয়ে, মোনালি ঠাকুরের দিদি। পরে অবশ্য় নিজের বুটিকের ব্যাবসাতেই মন দেন মেহুলি। আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব মেহুলি। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু ফেসবুকে নয়, পুজোর আনন্দ ভুলে ধর্মতলায় ছুটেছেন প্রতিদিন। সাহস জুগিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের।

কিন্তু সোমবার রাতে ফেসবুকে আচমকাই মেহুলি লেখেন, ‘হেরে গেলাম….. ভয়ের কাছে….’, তাঁর সেই স্টেটাস দেখে হইচই কাণ্ড। চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিচিতরা। প্রশ্ন করা হলে কমেন্ট বক্সে গোটা ঘটনা খোলসা করেন মেহুলি। তাঁর অভিযোগ, ‘আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে….. ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার এবং গ্রেফতার করার….. কারণটা ওরাই সাজিয়ে নেবে……. আসল কারণ আমি ধর্মতলায় গিয়েছি এবং সেখান থেকে ভিডিও করেছি।’

শাসকদলের দিকে আঙুল তুলে তিনি আরও বলেন, ‘এত বড় রাজনৈতিক ক্রিমিনালদের সাথে লড়ার ক্ষমতা আমার নেই…… তাই পিছু হটতে বাধ্য় হলাম…… শাসকদের বিরুদ্ধে আর কিচ্ছু বলা যাবে না। এটা শুধু আমার সাথে নয়, বহু নামী অনামী লোকের সাথেই ঘটছে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন অনেকেই আর কিছু পোস্ট করছে না এটা নিয়ে।’

যে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন, সেই থ্রেট কালচারের শিকার বলে দাবি করলেন মেহুলি। এই পোস্টের স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে শেয়ার করে শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, ‘সত্যিটা চোখের সামনে, এরপরেও চুপ…’। তাঁর এই পোস্টে যাঁরা হাহা রি-অ্যাক্ট দিয়েছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ্যে এনে শ্রীলেখা পালটা দেন। লেখেন- ‘মমতার ছেলে সব নোট হচ্ছে…’। 

জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে সোশ্যালে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মেহুলি। শুধু মমতা সরকারকে নয়, আরজি করের ঘটনায় রাহুল গান্ধীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁরে মুগ্ধ করেছে অনশনকারীদের বুকের পাটা। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পাঁচজন অনশনকারী। তাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের কটাক্ষ। তবুও হাল ছাড়তে না-রাজ তাঁরা। 

এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে মেহুলি জানান, সারা বছর দুর্গাপুজোর অপেক্ষায় থাকা তিনি এই বছর নতুন জামা গায়ে তোলেননি। তিনি লেখেন, ‘পৃথিবীর সব বড়ো বড়ো লড়াই গুলো কিন্তু কিছু মানুষ রাস্তায় নেমে লড়েছিল আর বাকিরা ইগনোরন্ট হয়েই থেকে গেছে। এর জন্য তাদেরকে দোষারোপ করার কোনো জায়গা নেই। কেন নেই সেই ব্যাখ্যা বিরাট….. এই মুহূর্তে ঢুকছিনা। তবে যারা পুজোয় আনন্দ করছে কররে দিন…… সবাই পারেনা জীবনের চাপ সমান ভাবে নিতে….. তাবলে তারা অসংবেদনশীল, তা নাও হতে পারে। দুর্গোৎসবের অমোঘ আনন্দ উপেক্ষা করা মোটেই সহজ নয়।’

তাঁর কথায়, ‘এ বছর অঞ্জলি দিইনি….. ভীষণ অস্বস্তিতে ছিলাম…… মাতৃ শক্তি কোনো ধর্মের নিরিখে বিচার করিনা। আমার কাছে প্রকৃতিই ঈশ্বর। মা দূর্গা আমাদের মনোবল, আমাদের ঋজু মেরুদণ্ডের প্রতীক। তাঁকে অবহেলা করতে বুকের ভেতর কেঁপে ওঠে। তাই গতকাল দুপুরে চলে গেলাম টিপুর বন্ধুর বাড়ির পুজোয়। খুব সুন্দর পরিবেশে ওদের বাড়ির লোকের সঙ্গে বরণ করলাম ‘মা’ কে।

মা কালই ফিরে গেছেন নিজের ঘরে। মাটির মূর্তি রেখে গেছেন আমাদের জন্য। কার্নিভাল করবো আমরা….. আগামিকাল’। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *