আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারের মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী এসেছেন কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্ত প্রক্রিয়া-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল। আর শুনানির সময় হাজির ছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী। এই মামলার শুনানিতে তিনি কেন উপস্থিত আছেন, তা জানতে চান হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। রাজ্যের আইনজীবী জানান যে মামলায় সহযোগিতা করার জন্য তিনি উপস্থিত আছেন।
আজ হাইকোর্টে আরজি কর মামলায় কী হল?
তারইমধ্যে বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, আপাতত আরজি কর মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই পরিস্থিতিতেত আপাতত নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মায়ের দায়ের করা মামলা শুনবে না হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পেলে তিনি মামলা শুনবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ।
সেই আবহেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে জানানো হয়, আগামী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হতে পারে। তখন হাইকোর্ট জানায় যে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরে বিষয়টি নিয়ে যেন হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তারপরে ফের হাইকোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ।
সিবিআইয়ের তদন্তে বিরক্ত নির্যাতিতার বাবা-মা
এমনিতে আরজি কর মামলায় জানুয়ারিতেই কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। যদিও তাঁর ফাঁসির আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে সিবিআই। যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজ নিয়ে তুমুল উষ্মাপ্রকাশ করেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। তাঁদের বক্তব্য, মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আরও অনেকে যুক্ত আছেন। সঞ্জয় তো দোষ করেছে। যুক্ত আছে অন্যান্যরাও। যাঁরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই পরিস্থিতিতে আপাতত সঞ্জয়ের ফাঁসি চান না বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা।
রাজ্যের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ক্ষোভপ্রকাশ নির্যাতিতার বাবা-মায়ের
তাঁরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছেন। সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার পরে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ারের ফাঁসি চেয়ে তড়িঘড়ি হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার। আর রাজ্যের এত তাড়াহুড়ো কীসের, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। এমনকী মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবি তুলেছেন। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা।