আরজি কর আন্দোলনের সময় রাত দখলের ডাক দিয়ে রাতারাতি অনেকের নজর কেড়েছিলেন তিনি। তিনি রিমঝিম সিনহা।এবার চাকরিহারাদের আন্দোলন নিয়ে কী বললেন সেই রিমঝিম?
সোশ্য়াল মিডিয়ায় রিমঝিম সিনহা লিখেছেন, ‘এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে রাগে, হতাশায়, বিরক্তিতে আমাদের অনেকেরই মন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। তারপর যখন চাকরিপ্রার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন, তখন প্রশাসন থেকে অর্ডার এসেছে যাতে পুলিশ তাঁদের জমায়েতকে নস্যাৎ করে। তার জন্য আগে কোর্ট, তারপর পুলিশ তাঁদের পেটে রীতিমতো লাথি মেরেছে!
এই রায় দেওয়ার মানে কি? কেন এরকম রায় বেরোলো না যাতে বলা হলো যে সিবিআইয়ের কাছে যে তথ্য আছে নাকি কিছু সংখ্যক প্রার্থীই ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন, সেই তথ্যকে সামনে আনা হোক? কেন যে মন্ত্রী, তাদের চেলাগণ, বা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়েছেন, তাদেরকে কাঠগড়ায় তোলা হলো না এখনও?
বিরোধীদের চক্রান্ত নাকি?! সবই যদি সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া ছিলো, তাহলে এরকম রায় বেরোলো কেন?! বার করা হোক সব তথ্য! একে দেশে চাকরি নেই, তার উপরে পড়াশোনা করে, খেটে চাকরি পেয়ে সেগুলির থেকে বঞ্চিত হওয়ার এই মারণ রায়কে তারস্বরে ধিক্কার জানান!’
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়কে তুলে ধরেছেন রিমঝিম। প্রথমত তিনি লিখেছেন, ‘কেন যে মন্ত্রী, তাদের চেলাগণ, বা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়েছেন, তাদেরকে কাঠগড়ায় তোলা হল না এখনও?’
দ্বিতীয়ত তিনি লিখেছেন, ‘সবই যদি সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া ছিল, তাহলে এরকম রায় বেরোলো কেন?! বার করা হোক সব তথ্য!’
তবে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। সেখানে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তবে আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরছেন না তাঁরা। তবে শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য তাঁদের স্কুলে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা আন্দোলনের রাস্তাতেই থাকছেন। শনিবার আন্দোলনকারীরা এমনটাই জানিয়েছেন HT বাংলাকে।
তবে চাকরিহারাদের আন্দোলনের সঙ্গে আরজি করের আন্দোলনের মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। সেই উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান। সেই অনশন। সেই অবস্থান। সেই দফায় দফায় মিটিং। কিন্তু তারপরেও প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে এতজন শিক্ষকের চাকরি গেল বাংলায়। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভয়াবহ অভিযোগ। তারপরেও কি এই আন্দোলন সাধারণ মানুষের আন্দোলন হতে পেরেছে?