ফের একবার চর্চায় মমতা শঙ্কর। আলোচনায় তাঁর মন্তব্য। ৮ মার্চ, শনিবার নারীদিবসের ঠিক আগে আগেই এক সাক্ষাৎকারে মহিলাদের আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা নিয়ে কথা বলেছিলেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। মহিলারা যে কু-প্রস্তাব পান, সেবিষয়ে নিজস্ব মতামত জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় মহিলাদের নিজেদেরই নিজের আত্মসম্মান ধরে রাখতে হবে। আর মমতা শঙ্করের এই মন্তব্যের পরেই তাঁর কথা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকেই শিল্পীর এই কথার সঙ্গে সহমত হতে পারেননি।
এদিকে মমতা শঙ্করের এই মন্তব্যের পরপরই ফেসবুকের পাতায় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী লেখেন, ‘উনি শঙ্কর প্রজাতির শিল্পী’। নিজের এই মন্তব্যের সঙ্গে জুড়ে দেন ভাবুক ইমোজি। এখন প্রশ্ন, তবে কি নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেই একথা লিখেছেন ঋত্বিক? যদিও নিজের পোস্টে সরাসরি মমতা শঙ্করের নাম নেননি ঋত্বিক চক্রবর্তী।
তবে তিনি ঠিক কী বলতে চেয়ছেন তা নিজেদের মতো করে বুঝে নিয়ে নানান মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। এক নেটিজেন ঋত্বিকের পোস্টের নিচে লেখেন, ‘নাম মমতা হলেও চরিত্র মমতাময়ী হবে, সেটা ভাবা ভুল। তা সে কুলকার্নি হোক বা শঙ্কর। (আরেকটা বলব না)’ আরও একজন লিখেছেন, ‘সবার জীবনে তো জন্মগত ভাবে রবির উদয় ঘটে না। এই সমাজে কোন অবস্থান থেকে যে মানুষ কতভাবে নির্যাতিত হয়, এই সহজ সত্যটা ওঁর অজানা।’ একজন আবার ঋত্বিকের সুরে সুর মিলিয়ে লেখেন, ‘আরে বেশিরভাগ মানুষই শঙ্কর প্রজাতির প্রাণী…’। কেউ আবার বলেছেন, ‘মানে ওঁর মধ্যে একটুও মমতা নেই বলছেন; সবটাই মায়া’। কারোর কটাক্ষ, ‘সব ঝামেলা ঐ মমতা নামেই’। কেউ আবার কোনওকিছু না জেনে বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেছেন, ‘আবার কী বললেন?’
ঠিক কী বলেছেন মমতা শঙ্কর?
মহিলারা যে কুপ্রস্তাব পান, সেবিষয়ে নারী দিবসের ঠিক আগে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের মতামত জানিয়েছেন মমতা শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘আত্মসম্মান, আত্ম মর্যাদা নিজেকে ধরে রাখতে হবে। অনেকে আমায় অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখার পর এসে বলেছেন উনি যে তোমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, সাংঘাতিক লোক কিন্তু, খুূব সাবধানে থেকো। আমি হয়ত পাল্টা জবাবে বলেছি, কেন? আমার তো তাঁকে ভালোই, সজ্জন বলে মনে হল। রাত জেগে, গভীর রাত পর্যন্ত কত শ্যুটিং করেছি, কত মানুষের সঙ্গে বসে আড্ডা দিয়েছি। গান গেয়েছি। কেউ কখনও খারাপ প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি। নিজার চারপাশে যদি একটা ব্যক্তিত্বের বেড়াজাল রাখা যায়, তাহলে কখনওই কোনও অসুবিধায় পড়তে হয় না। সে যদি নিজে শক্ত থাকে। আর আমি নতুন প্রজন্মকে বলব, যদি কখনো কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতেও হয় নতুন প্রজন্মকে বলব বুদ্ধির জোরে সেটাকে কাটিয়ে উঠতে জানতে হবে।’
তবে আজকাল অনেকেই কেন নিজের চারপাশে এই বেড়াজাল ধরে রাখতে পারছেন না, এবিষয়ে মমতা শঙ্করের জবাব ছিল, এর জন্য মানুষের লোভ-ই দায়ী।
তবে মমতা শঙ্করের এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকেই কিংবদন্তি শিল্পীর এই মতামতের সঙ্গে সহমত হতে পারেননি। আর সোশ্যাল মিডিয়ায়তেও মমতা শঙ্করের মন্তব্য নিয়ে ট্রোল করতে শুরু করেন নেটিজেনদের একাংশ।