মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের(Donald Trump) আহ্বানে সাড়া দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কুরস্ক অঞ্চলে লড়াই করা ইউক্রেনের জওয়ানদের প্রাণরক্ষার যে আর্জি জানান ট্রাম্প, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুতিন জানান যে ওই ফৌজিরা যদি আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রাণভিক্ষা দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন পুতিন। টিভিতে সম্প্রচারিত বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে অনুরোধ করেছেন, তার প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। ওঁরা যদি অস্ত্র রেখে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে তাঁদের জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে এবং মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করা হবে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা পুরোপুরি কার্যকর করার জন্য ইউক্রেনের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ দিতে হবে যে তাদের সামরিক বাহিনী যেন অস্ত্র রেখে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবথেকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ হবে…..
আর পুতিন সেই মন্তব্য করেছেন ট্রাম্পের আর্জির কিছুক্ষণ পরেই। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে পুতিনের কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে বলেন যে ইউক্রেনের হাজার-হাজার জওয়ানকে সম্পূর্ণভাবে ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার বাহিনী। তাঁরা অত্যন্ত বিপদের মধ্যে আছেন। ট্রাম্পের কথায়, ‘তাঁদের যাতে প্রাণভিক্ষা দেওয়া হয়, সেজন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে অত্যন্ত বিনয়ীভাবে আর্জি জানিয়েছি আমি। নাহলে সেটা ভয়াবহ গণহত্যা হবে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে দেখা যায়নি।’
কুরস্কের নিয়ন্ত্রণ এখনও ইউক্রেনের হাতে, দাবি কিয়েভের
এমনিতে যে কুরস্ক অঞ্চলে থাকা ইউক্রেনের জওয়ানদের প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছেন ট্রাম্প, গত অগস্টে সেখানকার অনেকাংশ দখল করে নিয়েছিল কিয়েভ। যদিও ইউক্রেন যে পরিমাণ অংশ দখল করেছিল, তার বেশিরভাগটাই পুনরায় দখল করে নিয়েছে মস্কো। ইউক্রেন অবশ্য দাবি করেছে, পুতিন এবং ট্রাম্প যে দাবি করছেন, সেটা মোটেও হয়নি। কুরস্কের নিয়ন্ত্রণ এখনও কিয়েভের হাতে আছে।
চাপের মধ্যে পড়েছেন, স্বীকার জেলেনস্কির
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোমিদির জেলেনস্কি এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন, রাশিয়ার বাহিনীর প্রবল চাপ সইতে হচ্ছে তাঁর সেনাকে। কুরস্ক অঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। কিন্তু ইউক্রেন যে পদক্ষেপ করেছে, তাতে একাধিক জায়গা থেকে রাশিয়ার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি। যদিও ট্রাম্পের আর্জির পরে পুতিন যে বার্তা দিয়েছেন এবং যে শর্ত বেঁধে দিয়েছেন, তা নিয়ে আপাতত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কোনও মন্তব্য করেননি।