সাংহাই কোঅপারেশন অর্গনাইজেশন বা এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। গতকালই সেখানে পৌঁছান তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেমন্তন্ন রক্ষা করতে নৈশভোজের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জয়শংকর। সেখানেই শেহবাজের সঙ্গে ২০ সেকেন্ড ধরে করমর্দন করেন জয়শংকর। সঙ্গে হয় কুশল বিনিময়। তবে তাঁর দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠক হয়নি পাক আধিকারিক বা নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে। আর আজ ইসলামাবাদের মাটিতে এসসিও সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তোপ দাগলেন জয়শংকর।
জয়শংকর বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা তখনই সফল হবে, যখন চর্টারের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার দৃঢ় থাকবে। এটা স্বতঃসিদ্ধ যে উন্নয়ন ও বৃদ্ধির জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। যদি সীমান্তপার কট্টরপন্থা, সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিনতাবাদ জারি থাকে, তাহলে সেই আবহে কখনও বাণিজ্যের প্রসার ঘটতে পারে না বা যোগাযোগ স্থাপন হতে পারে না।’ এদিকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামোয় বদলের বিষয়টি উত্থাপন করেন জয়শংকর। তিনি দাবি করেন, এসসিও-র সব সদস্যেরই উচিত এই কাঠামোগত পরিবর্তনের পক্ষে সরব হওয়া।
এদিকে জয়শংকরের পাক সফরের আবহে অনেকেরই মনে প্রশ্ন উঠেছিল, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠক কি হবে এই সময়ে? তবে সেই জল্পনায় আগেই জল ঢেলেছিল কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত নৈশভোজের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন জয়শংকর। সেখনে পাকিস্তানের শীর্ষ নেতার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ভাবে কুশল বিনিময় করেন জশংকরের। তবে গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয় নিয়ে কথাবার্তা সেই সীমিত সময়ে হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এই নৈশভোজে এসসিও সম্মেলমে আগত সব বিদেশি অতিথিরাই ছিলেন। এদিকে আজই ইসলামাবাদ থেকে ভারতে ফিরে আসতে পারেন এস জয়শংকর। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ন’বছর পরে পাকিস্তানের মাটিতে কোনও ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী পা রাখেন। সব মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় জয়শঙ্কর পাকিস্তানে থাকবেন বলে জানানো হয়।