মালদার মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র(Sabitri Mitra)। সম্প্রতি বাড়ি ফেরার পথে তাঁর গাড়িকে অপর একটি গাড়ি ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য রাস্তায় চলে গিয়েছিলেন। পুলিশেও খবর দিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু কোন গাড়ি বিধায়কের গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছিল?
সূত্রের খবর, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে হামলার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ একটি গাড়িকে আটক করেছে। ওই গাড়ির মালিকের নাম মহম্মদ সানিজ আক্তার। তার বাড়ি মালদার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়। তাকে ইতিমধ্য়েই একাধিকবার মানিকচক থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
কীভাবে সন্দেহজনক গাড়ির খোঁজ করছে পুলিশ?
সূত্রের খবর যে রাতে ওই সন্দেহজনক গাড়ি বিধায়কের গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তখন কোনওরকমে ওই গাড়ির নম্বর প্লেটের শেষ চারটি নম্বর দেখতে পেয়েছিলেন বিধায়ক। সেই শেষ চারটি নম্বর তিনি বলেছিলেন পুলিশকে। পুলিশও সেই নম্বরের সূত্র ধরে তদন্তে নামে।
পুলিশ মোটামুটি দুটি সূত্রের ভিত্তিতে তদন্তে নামে। একটা হল নম্বর প্লেট। আর অপরটি হল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এই দুটি খতিয়ে দেখে পুলিশ সেই সন্দেহভাজন গাড়ির খোঁজ করতে থাকে। কিন্তু বিধায়ক গোটা নম্বর বলতে পারেননি। সেক্ষেত্রে পুলিশের কাছে তদন্তে ভরসা বলতে চারটি নম্বর। এরপর গোটা রাজ্যে যত গাড়ির নম্বর প্লেটে ওই শেষ চারটি নম্বর রয়েছে পুলিশ সেই গাড়িগুলি সম্পর্কে খোঁজ শুরু করে। সেই সঙ্গেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। সেই ফুটেজ দেখে ও নম্বর প্লেটের সঙ্গে কিছুটা মিল থাকায় পুলিশ একটি গাড়িকে চিহ্নিত করেছে। সেই অনুসারে তদন্ত চলছে। কিন্তু যাকে ডেকে পুলিশ জেরা করছে সেই সানিজ আক্তার অবশ্য বিধায়কের গাড়ির উপর হামলার চেষ্টার ঘটনায় তার যোগ নেই বলে বার বার দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। গতি শনিবার রাতে তিনি যে মানিকচকের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে ছিলেন সেটা তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন ব্যবসার প্রয়োজনে তাঁকে মানিকচকে আসতে হয়। সেক্ষেত্রে তিনি শনিবারও এসেছিলেন। পরে তিনি এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু বিধায়কের গাড়িতে হামলার ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই।
এদিকে কিছুদিন আগে এই মালদায় খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার। সেকারণে পুলিশ আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না।