Saregamapa Deyashini Roy। মদনপুরে ফিরে কেন অঝোরে কাঁদলেন দেয়াশিনী?

Spread the love

২ মার্চ, রবিবার সম্প্রচারিত হয়েছে বাংলা সারেগামাপা-২০২৪ শোয়ের গ্র্যান্ড ফিনালে। আর সেখানেই যুগ্মভাবে বিজেতা হয়েছেন অতনু মিশ্র ও দেয়াশিনী রায়। সারেগামাপা-র মতো জনপ্রিয় এই গানের শোয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আলাদা আনন্দ তো বটেই। তবে জিতে বাড়ি ফেরার পর হঠাৎ সেই আনন্দ, মুখের হাসি, কান্নায় বদলে গেল দেয়াশিনীর কাছে। অঝোরে কাঁদলেন সারেগামাপা-২০২৪এর এই বিজয়ী। কিন্তু কেন এমন ঘটল?

এভাবে কান্নার কারণও নিজেই জানিয়েছেন দেয়াশিনী। তাঁরই ফেসবুকের পাতায় পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর মদনপুরের বাড়ির সামনে Welcome Champ-বলে একটা প্ল্যাকার্ড রাখা। আর সেটা দেখেই আবেগতাড়িত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গায়িকা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এভাবে কাঁদছি কেন, সেটা বাকি ভিডিয়ো দেখলেই বুঝতে পারবেন।’

দেয়াশিনীকে বলতে শোনা যায়, ‘গতকালই ছিল আমাদের সারেগামাপা-২০২৪-২৫ এর গ্র্যান্ড ফিনালে। আপনাদের প্রত্যেকের ও ভগবানের আশীর্বাদে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় বাড়ি ফেরার পর আমার পরিবারের লোকজন, আত্মীয় সহ গোটা মদনপুরবাসী উপস্থিত ছিলেন, এবং আমায় সুন্দরভাবে ওয়েলকাম করেন। আমায় সকলে বরণ করেন। আমার গাড়ির সামনে সকলে ভিড় করেছিলেন। যেটা দেখে আমি খুবই ইমোশনাল হয়ে পড়ি। খুব আনন্দ হচ্ছিল যে গোটা মদনপুরবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। আমার পড়ার সকলে খুব খুশি ছিলেন। এটা আমার কাছে একটা বড় প্রাপ্তি। এটা হয়ত সারেগামাপা-জয় করেছি বলেই।’

দেয়াশিনী বলেন, ‘এটা একটা ভীষণ খুশির মুহূর্ত আমার কাছে, আমার থেকেও হয়ত বেশি আমার বাবা-মা প্রতিবেশীদের কাছে, আমার গুরুদের কাছে। আর সেই জন্যই আমি আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। এর আার জন্য ৩ টে বড় বড় কেক রাখা ছিল। চ্যাম্পিয়ন দেয়াশিনী লেখা। বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল। এটা হয়েছিল আমাদের বাড়ির ঠিক সামনে। আমি বলব, আমাকে এভাবেই সাপোর্ট করবেন, পাশে থাকবেন। যাতে ভালো ভালো গান শোনাতে পারি।’

দেয়াশিনীর এক প্রতিবেশীকে বলতে শোনা যায়, ‘ও আমাদের পাড়ার মেয়ে, আমাদের কন্যাসম দেয়াশিনী রায়। এখানে অনেকে রয়েছেন। পাড়ার সকলের তরফে ওকে অনেক অভিনন্দন। ও যেটা করেছে, সেটা শুধু নদিয়ার জন্য নয়, ভারতবর্ষের কাছেই গর্ব। ওর মঙ্গলকামনা করি।’ ওই প্রতিবেশী কাকুর বক্তব্যের পরই বাকিরাও হাততালি দিয়ে ওঠেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *