রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘদিন ধরে জট তৈরি হয়ে আছে। এই আবহে এই মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলায় এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পক্ষে বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। উপাচার্য নিয়োগ মামলায় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ জানিয়ে দিল, আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের তালিকাই যাবে আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে।
এর আগ এই মামলায় ‘সার্চ-কাম-সিলেকশন’ কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছিল, সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটির তরফ থেকে প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্যে তিনটি নাম বাছাই করবে। সেই তালিকা যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তবে সেই তালিকায় নাম থাকবে আদ্যাক্ষরের ভিত্তিতে। এরপর সেই তালিকা থেকে নিজের পছন্দের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী একটি তালিকা তৈরি করবেন। সেখানে তাঁর সবচেয়ে পছন্দের প্রার্থীর নাম ওপরে থাকবে। এবং সার্চ কমিটির তালিকায় থাকা কোনও নামে আপত্তি থাকলে, তাও উল্লেখ থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায়। সঙ্গে থাকবে আপত্তির কারণ। সেই তালিকা রাজ্যপালের কাছে পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে সম্প্রতি সেই প্রক্রিয়ায় কিছু বদল চেয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি ছিল, কমিটি নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ক্রমতালিকায় নাম সাজিয়ে তা পাঠাক মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যপালের সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম বেঞ্চ। তবে আজ এই মামলার শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী সওয়াল করেন, উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই আবহে ফের বিরোধ শুরু হলে সেই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ফিরে আসবে। এই আবহে আপাতত চলমান প্রক্রিয়ার হস্তক্ষেপ না করে আগের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, আদ্যাক্ষরের ভিত্তিতে নাম সাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তালিকা পাঠাবে সার্চ কমিটি। যদিও রাজ্যপালের আর্জি খারিজ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পরবর্তীতে রাজ্যপালের সেই আর্জি শোনা হবে। পাশাপাশি সুপারিশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে মতভেদ হলে তখন সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে।