হাসপাতালে ভর্তি হলেন অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত(Manasi Sengupta)। অর্থাৎ নিম ফুলের মধু সিরিয়ালে পর্ণার জা মৌমিতা। মাসখানেক আগেই এসেছিল অভিনেত্রীর দ্বিতীয়বার মা হতে চলার খবর। এমনকী, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে বেশ কয়েকমাস কাজ থেকে বিরতিও নেন তিনি। এবার ছোট্ট রাজপুত্র বা রাজকন্যার আসার পালা।
সোমবার সক্কাল সক্কাল নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে মানসী জানালেন, ‘কালকে একটা ছোট্ট এমার্জেন্সি হয়েছিল। তাই চটপট করে ভর্তি হয়ে গেছি। অ্যান্ড দ্য কাউন্টডাউন বিগিনস।’ তবে আসছে যে সন্তান, তাঁকে নিয়ে যতটা উত্তেজিত অভিনেত্রী, ততটাই দুঃখে। কারণ তাঁকে খেতে দেওয়া হয়েছে দুধ আর বিস্কিট। কারণ, তিনি চা-কফি কিছুই খান না। আর দুধের কাপ দেখে রীতিমতো খারাপ অবস্থা তাঁর।
সঙ্গে মানসী প্রায় কাঁদতে কাঁদতেই (ছদ্ম কান্না) বললেন, ‘এখন আমি বুঝতে পারছি তুহুকে (মেয়েকে) রোজ স্কুলে যাওয়ার আগে দুধ-বিস্কিট খাওয়াই, আর কেন ও খেতে চায় না! আমার পক্ষে অসম্ভব এটা খাওয়া। পারব না দুধ খেতে।’তবে তারপরই সন্তান আসার আনন্দে বলে ওঠেন, ‘এর মধ্যে থেকে একটাই যে অবশেষে সে আসছে। আমি খুব খুব এক্সাইটেড। শুধু এই দুধ দেখে সব এক্সাইটমেন্ট শেষ হয়ে যাচ্ছে’। ভিডিয়োটি শেয়ার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল। কমেন্ট বক্সে, অভিনেত্রীকে তাঁর অনাগত সন্তানের জন্য শুভকামনা জানালেন নেটিজেনরা।
হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি মানসীর। গর্ভাবস্থার ৫ মাসেও একবার ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। এরপরই তিনি ডাক্তারের পরামর্শে কাজ ছেড়ে চলে যান মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। তবে মনখারাপ করে বসে থাকার পাত্রী মানসী একেবারেই নন। বেবিবাম্প নিয়েও চুটিয়ে মজা করেছেন। তা সে শ্বেতা-রুবেলের বিয়ে হোক বা জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড, একেবারে মন ভরে সাজুগুজু করে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
মানসী তাঁর সাধের সময়ই জানিয়েছিলেন, ছেলে হোক বা মেয়ে, সুস্থ সন্তানই কামনা করছেন মনে মনে। তবেহ্যাঁ মনের মধ্যে একটা সুপ্ত বাসনা, এবারেও একটা মেয়ে হোক তাঁর। এমনকী, মানসীর মেয়েও বোনই চাইছে নিজের জন্য। প্রেগন্যান্সির এই কঠিন সময়ে মানসীকে আগলে রাখে তাঁর মা ও বোনেরা। যদিও তা নিয়েও ট্রোল হন তিনি। কেন অভিনেত্রীর স্বামীকে দেখা যায় না, সেই প্রশ্ন তুলে কটাক্ষে ভরায় নেটপাড়া। মাঝে একবার দিদি নম্বর ১-এ এসে স্বামীর সঙ্গে দূরত্বের কথা বলেছিলেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গ তুলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ‘তাহলে মা হচ্ছেন কী করে?’
যদিও ট্রোলে চুপ করে থাকার পাত্রী নন মানসী। তিনিও চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দেন। এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কটা সময় সত্যিই আমাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেকথা আমি কখনওই লুকোইনি। তবে মেয়ের মুখ চেয়ে আমরা সে সব মিটিয়েও নিয়েছি। তারপরই দ্বিতীয় মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত।’ সঙ্গে অভিনেত্রীরভয় ছিল, ‘পরে আমার সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে না প্রশ্ন তৈরি হয়!’
মানসীর স্বামীর নাম অভিজিৎ ঘোষ। ঘরে ঘরে জি বাংলা অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখা মিলেছিল তাঁর। তবে তিনি প্রচারবিমুখ। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে দূরেই রাখেন নিজেকে। বরের যখন অল্প বয়স, শ্বশুর-শাশুড়ি মারা গিয়েছেন। তাই পরিবার বলতে এখন বাপের বাড়ির লোকেরাই।