Sexual Assault in School। ‘বাড়িতে বলবে না’, বলেছে অভিযুক্ত!

Spread the love

নয়ডার নামি স্কুলের অন্দরে এক কর্মচারীর হাতে পর পর ২ বার যৌন হেনস্থার শিকার এক শিশুকন্যা। ৩ বছর বয়সী ওই শিশুকন্যার মা এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন। ওই মহিলা, ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন, স্কুলে তাঁর মেয়েকে দু’বার যৌন হেনস্থার পর ওই অভিযুক্ত ঘটনার কথা বাড়িতে বলতে বারণ করে।

শিশুকন্যার মায়ের অভিযোগ গত ৪ অক্টোবর, ওই কর্মচারী, স্কুলের মেডিক্যাল রুমে ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে যৌন হেনস্থা করে। তখনই শিশুটি চিৎকার করে। শুনেই অপর এক মহিলা কর্মচারী ছুটে আসেন। সেই সময় অভিযুক্ত জানলা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি নির্যাতিতার মায়ের। তখনই শিশুকন্যাকে স্কুলের টিচার নিয়ে যান। শিশুকন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে যা বলে, তাতে অনেকের মনে হয়েছে, শিশুকন্যাকে অনলাইনে কোনও অশ্লীল ভিডিয়ো দেখানো হয়েছে। 

এরপর ৭ অক্টোবরের ঘটনা। নির্যাতিতার মা বলছেন, সেদিন মেয়ে স্কুলে যেতে চায়নি। তার অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিল গোপনাঙ্গে। তড়িঘড়ি তাকে ডাক্তার দেখানো হয়। ঘটনা গোপনাঙ্গের সংক্রমণ হিসাবে ধরে নিয়ে ডাক্তার কিছু টেস্ট করতে বলেন। দেখা যায়, টেস্টে ধরা পড়েছে, গোপনাঙ্গে ওই শিশুর কোনও সংক্রমণ নেই, বরং যৌন হেনস্থার তথ্য সামনে আসে। এরপর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করতে থাকেন দম্পতি। তখনই মেয়ে জানায়, স্কুলে ‘খানা ভাইয়া’ (যিনি খাবার দেন) ওই ছোট্ট শিশুকন্যার গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে অত্যাচার করে। শিশুটি বলতে থাকে,’ভাইয়া ডান্ডা করতে হ্যায়’। শিশু এও জানায় যে, ঘটনার পর ওই অভিযুক্ত তাকে বলেছে,’বাড়িতে বলবে না’।

এই নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, স্কুলে ঘটনার কথা জানালে, স্কুলের শিক্ষক জানান, মেয়েটি হয়তো অলাইনে কোনও অশ্লীল ভিডিয়ো দেখে সেই কথাই জানাচ্ছে, সে যা দেখেছে সেটাই বলছে। অভিযোগকারী মা বলেন,’সেটা হলে আমার মেয়ের গোপনাঙ্গে যন্ত্রণা হবে না, লাল হবে না, ব়্যাশ হবে না।’ এরপর সেক্টর ২০ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। পদক্ষেপ করে চাইন্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটি। ৯ তারিখ রেজিস্টার হয় এফআইআর। এরপর স্কুলে যায় পুলশের টিম, শুরু হয়েছে তদন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *