Share Market Crash Reason। ৮৭’র ‘কালো সোমবারের’ স্মৃতি ফিরল ২০২৫-এ

Spread the love

শেয়ার বাজারে আজ বিশাল বড় ধস নামে ভারতে। অবশ্য শুধু ভারত নয়, তার আগে এশিয়ার তাবড় শেয়ার বাজারেও হু হু করে পতন দেখা যায় সূচকে। অবশ্য, বিশ্বজুড়ে যে আজ শেয়ার বাজারে ধস নামতে পারে, সেই শঙ্কা আগে থেকেই ছিল বিনিয়োগকারীদের মনে। অনেকেই ১৯৮৭ সালের ‘কালো সোমবারের’ উল্লেখ করেছেন এই প্রসঙ্গে। ১৯৮৭ সালের ১৯ অক্টোবর, এক ধাক্কায় মার্কিন শেয়ার বাজারে ২২.৬ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছিল। আজ ভারতীয় শেয়ার বাজারে একটা সময়ে প্রায় ৫ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছিল। চিনের হ্যাং সেং পড়ে গিয়েছিল ১০ শতাংশ পর্যন্ত। জাপানের নিক্কেইও প্রায় ৮ শতাংশ নীচে নেমে গিয়েছিল একটা সময়। কিন্তু কেন এই পতন?

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রতিক্রিয়ার জেরেই বিশ্বজুড়ে এই ধস দেখেছে শেয়ার বাজারগুলি। এর জেরে মন্দার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর শুল্কের প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা প্রতিফলিত হয়েছে এই সব শেয়ার বাজারগুলিতে। এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের অবশ্য প্রতিক্রিয়া, এই শুল্ক হল ‘ওষুধ’। ফ্লোরিডায় সপ্তাহান্তে গলফ খেলা শেষে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক সময় কোনও কিছু ঠিক করার জন্য ওষুধ খেতে হয়।’ বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারের অস্থিরতা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘বাজারে কী হতে চলেছে, আমি আপনাকে বলতে পারবা না। কিন্তু আমাদের দেশ অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সপ্তাহান্তে শুল্ক ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তাঁরা চুক্তি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

আজ শেয়ার বাজারে লেনদেন শেষে সেনসেক্স দাঁড়িয়ে ছিল ৭৩,১৩৭.৯০ পয়েন্টে। গত সেশনের তুলনায় তা ২২২৬.৭৯ পয়েন্ট বা ২.৯৫ শতাংশ কম। আজ একটা সময়ে সেনসেক্স সর্বনিম্ন ৭১,৪২৫.০১ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে বেশ কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় দালাল স্ট্রিট। এদিকে আজ ক্লোজিং বেলে নিফটি৫০ দাঁড়িয়ে ছিল ২২,১৬১.৬০ পয়েন্টে। গত সেশনের তুলনায় তা ৭৪২.৮৫ পয়েন্ট ব ৩.২৪ শতাংশ কম। আজ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আইটি সেক্টর। তাছাড়া বাকি সব সেক্টরের সূচকই আজ নিম্মমুখী ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *