Sheikh Hasina Latest Update। ‘অজুহাত…’, হাসিনা ইস্যুতে ভারতের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন

Spread the love

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি নাকচ করতে নানা অজুহাত দিতে পারে ভারত। এমনই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আসিফ জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করতে বলা হয়েছে। এদিকে আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে পলাতকদের বিচারের বিধান রয়েছে। সাধারণ খুনের ক্ষেত্রেও রয়েছে। এই আবহে আমরা শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এখন ভারতের যে মনোভাব, তাতে মনে হচ্ছে, তারা নানা অজুহাতে এই দাবি নাকচ করে দেবে।’  

এদিকে ভারতের দিকে আঙুল তুলে আসিফ নজরুল আরও বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সম্প্রকে কুৎসা ছড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে ভারত। হাসিনাকে উস্কানিমূলক এবং বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করতে দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে। এই আবহে তারা সরল ভাবে কোনও চুক্তি মানবে বলে হয় না। তবে আমর আমাদের দাবি জানাতে থাকব।’

২০২৪ সালের ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার সরকারে থাকা বহু মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। আবার বহু মন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতবাসে আছেন। এদিকে গত ২ দিন ধরে বাংলাদেশে যে ধ্বংসলীলা চলছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনাকেই দায়ী করেছে ইউনুসের সরকার। এহেন পরসিস্থিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতে বসে হাসিনা যে ভাষণ দিচ্ছেন, তা বাংলাদেশের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যা ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ‘স্বাস্থ্যকর’ সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে মোটেও সহায়ক নয়। সরকারের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতা করে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন হাসিনা। ওই আন্দোলনের সময় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অপমান করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন। আজগুবি গল্প ফেঁদেছেন।

এর আগে বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। আবার আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ান হয়েছে। এদিকে এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

অপরদিকে গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই মধ্যে আবার জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেছিলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তাহলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতেও রাজি কমিশন। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক ‘নোট ভার্বাল’ দিয়ে দিল্লি কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *