পাকিস্তানে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে লস্ক জঙ্গি আবু কাতাল। এই জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিল। এবার দাবি করা হচ্ছে, যে সব আবু কাতালের ওপর প্ণঘাতী হামলা হয়, তখন তার পাশেই ছিল হাফিজ সইদ। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাস্থলের একটি ভিডিয়ো এবং একটি অ্যাম্বুলেন্সে দু’টি রক্তাক্ত দেহের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই আবহে অনেক পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহাকরারীই দাবি করছেন, হাফিজের মৃত্যু নাকি নিশ্চিত হয়েছে। যদিও এই নিয়ে সরকারি ভাবে পাকিস্তান কোনও বিবৃতি দেয়নি এখনও।
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ১৫ মার্চ রাতে হত্যা করা হয়েছে লস্কর জঙ্গি আবু কাতালকে। এই আবু কাতাল আবার জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ ছিল বলে দাবি করা হয়। ভারতে নানা জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ হাত ছিল। গত বছরের ৯ জুন শিবখোড়ি থেকে ফেরার বাসে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলার ঘটনাতেও সে জড়িত ছিল। ওই হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছিলেন।
আবু কাতাল কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। অবশ্য জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পাকিস্তানে সে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করত বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। রাজৌরি জেলার ধাংরি গ্রামে সাধারণ মানুষদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার ঘটনাতেও তার নাম উঠে এসেছিল তার। ২০২৩ সালের চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিল এনআইএ। সেই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। দাবি করা হয়, সে দীর্ঘদিন ধরে লস্করের হয়ে কাজ করছিল। ২৬/১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের খুব ঘনিষ্ঠ ছিল সে। দু’জনেই একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষত।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঝিলামের সিংঘিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে জঙ্গি নেতা আল কাতাল। গত কয়েক মাসে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী বহু পাকিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানে। সম্প্রতি লস্করের শীর্ষ কমান্ডার রিয়াজ আহমেদ ওরফে কাসেমও নিহত হয়েছে পাকিস্তানে। এছাড়া বশির আহমেদ নামে এক সন্ত্রাসী সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে নিহত হয়।