তাঁর গর্ভে বেড়ে উঠেছে একটা প্রাণ। এখন সেই মেয়ে চোখ মেলে তাকাচ্ছে। মাতৃত্বের এই সফর শ্রীময়ীর কাছে রূপকথার চেয়ে কম নয়। মাতৃত্বের প্রতিটা ধাপ তাঁর কাছে কঠিন ছিল, কিন্তু তাঁকে আগলেছেন কাঞ্চন। মা হওয়ার পর কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন শ্রীময়ীর। বিয়ের সাড়ে আট মাস পর সন্তানের জন্ম দেওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। স্বামীর সুরে সুর মিলিয়েই শ্রীময়ী সাফ জানালেন, তিনি কাউকে জবাবদিহি করবেন না। আনন্দবাজারকে অভিনেত্রী বলেন, ‘কাঞ্চনকে সেরা বাবার তকমা দেব। বন্ধু কাঞ্চনকে দেখেছি আমি। প্রেমিক কাঞ্চনকে আমি খুব কম পেয়েছি।’
শ্রীময়ী স্পষ্ট করেছেন কৃষভিকে পৃথিবীতে আনাটা তাঁর ও কাঞ্চনের সচেতন সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টাইমলাইনও। ১২ বছর ধরে কাঞ্চনকে চেনেন শ্রীময়ী। যদিও শুরুর ৮ বছর তাঁরা শুধুই বন্ধু ছিলেন।
শ্রীময়ীর অকপট স্বীকারোক্তি শুরু থেকেই কাঞ্চনের প্রতি তাঁর দুর্বলতা ছিল। যদিও সেই সময় কাঞ্চন পিঙ্কির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। শ্রীময়ীর কথায়, আমার তরফ থেকে সব সময়ই অসম্ভব প্রেম ছিল কাঞ্চনের প্রতি। কিন্তু ও অন্য সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল’।
একটা সময় শ্রীময়ী বলেছিলেন, তিনি কোনওভাবেই কোনও বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন না। আজ অকপটে মেনে নিলেন, ‘আমার দুর্বলতা ছিল। বিবাহিত মানুষকে ভালবেসেছিলাম।’গর্ভাবস্থার দিনগুলোও কতটা কঠিন ছিল শ্রীময়ীর কাছে, জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়েছিল। একেবারে শেষ পর্যায়ে ধরা পড়ল জন্ডিস’। কাঞ্চনও জানিয়েছেন সে কথা। এই সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন বলেন, ‘শ্রীময়ী প্রচণ্ড অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে গেছে প্রেগন্যান্সির সময়। ওর শরীরে অনেক অসুস্থতা ধরা পড়ে। বিলিরুবিন হাই হয়ে যায়….. দিনে ৩০-৪০ বার বমি করত। রাতে ঘুম হত না। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ৯টা মাস মহিলাদের পুরো সিস্টেমটাকে নিজেদের মধ্যে জারিত করতে হয় সেটা দেখেছি। হরমোন্যাল চেঞ্জেস হয়। একটা মহিলাদের প্রসব হওয়ার পর কত শারীরবৃত্তীয় হয়।’