সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬০০০ চাকরি। একেবারে দিশেহারা অবস্থা চাকরিহারাদের। চাকরিহারা শিক্ষকরা ঠিক কী করবেন সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের কাছেও দরবার করছেন তাঁরা। চাকরিহারাদের কয়েকজন প্রতিনিধি সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন দিল্লিতে। এরপর সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে মিটিং। কিন্তু সেখানে গিয়েও একেবারেই সন্তুষ্ট নয় তারা। মূলত মুখ্যমন্ত্রীর কথায় নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে তাঁদের মধ্য়ে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে কী বললেন চাকরিহারা শিক্ষকরা?
এবিপি আনন্দের প্রতিনিধিকে চাকরিহারা শিক্ষকরা বলেন, মাননীয়া বলছেন প্রথমে যোগ্যদের দেখছি। সেটা নিয়ে আমাদের আসল খটকা। প্রথমে যোগ্যদের দেখবেন। তারপর…উনি কী দেখবেন সেটা আমি জানি না। কিন্তু প্রথম ও শেষ এটাই হওয়া উচিত যে তিনি যোগ্যদের পাশে থাকবেন।
অপর এক চাকরিহারা শিক্ষক বলেন, আমাদের লিস্ট কোথায়। আমরা যে যোগ্য আমাদের সেই লিস্ট কোথায়। অযোগ্যদের পাশে তিনি থাকুন। কিন্তু লিস্টটা কোথায় । আমরা পড়াশোনা করে চাকরি পেয়েছি। কারোর দয়ায় চাকরি পাইনি। সেটা সবার আগে মনে রাখতে হবে। অপর এক চাকরিহারা শিক্ষিকা বলেন, ঘর থেকে বের হতে পারছি না। আগে গলার একটা জোর ছিল। কিন্তু এখন কে যোগ্য়, কে অযোগ্য সেটা চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। আমি কি লিখে বেড়াব যে আমি যোগ্য কি না। একেবারে অন্যায় কথা বলেছেন। আমি জোর গলায় বলছি তিনি অন্যায় কথা বলছেন।
অপর এক চাকরিহারা শিক্ষিকা বলেন, যারা টাকা নিয়ে পেয়েছে তিনি কী করে, তিনি ঠিক ওদের ডেকে নিয়ে গিয়ে কী বলবেন সেটাই বুঝতে পারছি না। স্যালারি ফেরত দিতে তো বলেই দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তো বলেই দিয়েছে স্যালারি ফেরত দিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অলটারনেটিভ যা করার করব। দু মাসের মধ্য়ে করব। যারা এখন চাকরি করছেন তারা আজ কী করবেন! এটা কোর্টের কাছে জানতে চাইব। স্কুল কে চালাবে এটা জানতে চাইব। না
২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, চাকরিহারা এক শিক্ষিকা বলেন, আমরা হার মানব না। আমাদের কী হচ্ছে সেটা আমরাই জানি।
অপর এক চাকরিহারা বলেন, কীসের প্ল্যান বি। আমরা আশ্বস্ত হইনি।
অপর এক চাকরিহারা শিক্ষকের আক্ষেপ, দিদি আমাদের জন্য কিছু করিনি। আমাদের কোনও আশ্বাস দেননি। কীভাবে দেখবেন তা নিয়ে কোনও রোড ম্যাপ তিনি দিয়ে যাননি।