চাকরিহারা প্রায় ২৬০০০। একেবারে দিশেহারা অবস্থা। হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার সেই চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)।
সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যাতেই জানা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার মামলার রায়দান হবে। আর তখনই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কয়েকজন শিক্ষক। এরপর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা। তারপরই চাকরি গেল ২৬০০০জনের। এদিকে সেই সময় দিল্লিতে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তিনিও ছিলেন দিল্লিতে। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে হাইকমান্ডের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে। সেকারণে দিল্লিতে ছিলেন শুভঙ্কর সরকার। এদিকে ২৬০০০ চাকরি বাতিলের পরে কংগ্রেসের তরফ থেকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পদত্য়াগের দাবি করা হয়েছিল।
এসবের মধ্যেই চাকরিহারা শিক্ষকরা যোগাযোগ করেন কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। এরপর সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন চাকরিহারা প্রতিনিধিরা। শনিবার চাকরিহারা প্রতিনিধিরা দেখা করলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার তাঁদের নিয়ে রাহুল গান্ধীর কাছে যান।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, চাকরিহারাদের কথা শোনেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)।
গোটা বিষয়টি বিস্তারিত জানান চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা। তাঁদের কথা অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে শোনেন রাহুল। কীভাবে তাঁদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হল তা জানান চাকরিহারা শিক্ষকরা।
টিভি ৯ বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, চাকরিহারা শিক্ষক হুমায়ুন ফিরোজ মণ্ডল বলেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ১২ মিনিট মতো কথা হয়েছে। আমাদের প্রতি যে অবিচার হয়েছে তা বিস্তারিত তাঁকে জানিয়েছি। কীভাবে সাহায্য করতে পারেন তিনি জানতে চেয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি লেখার জন্য রাহুল গান্ধীর কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছি।
এদিকে রাহুল গান্ধী আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না সেটা তাঁর হাতে নেই। চাকরিহারাদের অনুরোধ গোটা দেশ তাঁদের এই দুর্দশার কথা জানুন। তার আবেদন তিনি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গেই মানবাধিকার কমিশন সহ বিভিন্ন মহলে বিষয়টি জানানো হবে এমন আশ্বাসও মিলেছে।
চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। বিভিন্ন মহলে দরবার করছেন। মুখ্য়মন্ত্রী সোমবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের কথা শুনতে যাবেন। এদিকে চাকরিহারা শিক্ষকরা কার্যত সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিভ্রান্ত। কাদের দোষে যোগ্যদের চাকরি গেল সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না অনেকেই।