চাকরিহারা শিক্ষকদের আপাতত স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শুধুমাত্র যে শিক্ষকদের (নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকরা) প্রশ্নাতীতভাবে দাগি বা ‘টেন্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি , তাঁরাই স্কুলে যেতে পারবেন। যে শিক্ষকদের প্রশ্নাতীতভাবে দাগি বা ‘টেন্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আর ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে শিক্ষাকর্মীরা (গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি) চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরাও সাময়িক স্বস্তি পাননি। তাঁদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার সময়সীমা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী ৩১ মে’র মধ্যে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে। জানাতে হবে বিস্তারিত তথ্য। আর আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
চাকরি কি থেকে গেল?
অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টে আজকের শুনানির পরে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ স্বস্তি পেলেও সেটা নেহাতই সাময়িক বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, আজ সুপ্রিম কোর্ট যে অনুমতি দিয়েছে, সেটার ফলে এটা যদি কেউ ভেবে নেন যে চাকরি থেকে গেল, সেটা ভুল ভাবা হবে। যা নির্দেশ ছিল, সেটাই বহাল থাকল। শুধুমাত্র পড়ুয়াদের কথা ভেবে প্রশ্নাতীতভাবে দাগি বা ‘টেন্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত নন, এমন শিক্ষকদের আপাতত স্কুলে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
পড়ুয়াদের জন্যই সাময়িক স্বস্তি শিক্ষকদের!
আর শুধুমাত্র কেন শিক্ষকদের সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেটাও ব্যাখ্যা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তিত শীর্ষ আদালত। তাদের পড়াশোনা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়; সেজন্য নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষকদের (চিহ্নিত দাগী বা অযোগ্য) আপাতত স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে দাগি প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি, বলল আদালত
কিন্তু শিক্ষাকর্মীদের কেন সেই সুযোগ দেওয়া হল না, সেটাও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, গ্রুপ ‘সি’ এবং গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীদেরও স্কুলে যেতে দেওয়ার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে আর্জি জানানো হয়েছিল, সেটা গৃহীত হচ্ছে না কারণ শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে দাগি বা ‘টেন্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই তাঁদের কোনও সাময়িক স্বস্তি দেওয়া হচ্ছে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
কমিশনের কোর্টে বল গেল?
আর সেই পরিস্থিতিতে আপাতত কমিশনের কোর্টে বল গেল বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। ওই মহলের মতে, কমিশনকেই জানাতে হবে যে কোন কোন সহকারী শিক্ষককে প্রশ্নাতীতভাবে দাগি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। আর তাঁদের স্কুলে যেতে বলতে হবে বলে মনে করছে আইনজীবী মহল।