গতকাল প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল এসএসকেএমের এক জুনিয়র চিকিৎসককে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন এই চিকিৎসকও। তবে কী কারণে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন সেই চিকিৎসক? টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে দাবি করা হল, ঘুমের ওষুধ এবং মানসিক রোগের ওষুধ মিলিয়ে মোট ২০টি ওষুধ খেয়েছেন ওই চিকিৎসক। উল্লেখ্য, অসুস্থ চিকিৎসক স্নায়ুরোগ বিভাগের হাউস স্টাফ। রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালের হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসক পড়ুয়া এমন কেন করলেন, খতিয়ে দেখছেন কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, রবিবার যখন সেই হাউস স্টাফকে হস্টেল ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়, তখন তিনি কার্যত সংজ্ঞাহীন ছিলেন। সেই সময় চটজলদি তাঁকে এসএসকেএমের সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, সেই চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে এখনও বিপদ পুরোপুরি কাটেনি। এই আবহে তাঁকে সিসিইউ-তে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদিকে সহকর্মী এমন কেন করেছিলেন, তা নিয়ে ধন্দে আছেন অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তাররাও। তাঁরা জানিয়েছেন যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গিয়েছে এই চিকিৎসককে। এসএসকেএম হাসপাতালের পরিসরে আরজি কর ইস্যু নিয়ে যখনই কোনও কর্মসূচি হয়েছে, সেখানে দেখা যেত এই চিকিৎসককে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের এক চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। নিহত চিকিৎসকের নাম ছিল দীপ্র ভট্টাচার্য। বছর বত্রিশের ওই জুনিয়র ডাক্তার কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। সেই ঘটনায় হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল সেই চিকিৎসকের মৃতদেহ। সেখানেই ঘর ভাড়া করে থাকতেন তিনি। তিনি ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ছিলেন। থ্রেট কালচার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়। তাঁর রহস্যমৃত্যুর পরে পুলিশ তদন্তে নামে। সেই ঘরের ভিতর থেকে সিরিঞ্জ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা যায়। তার মধ্যেই এসএসকেএমের ঘটনাটি ঘটল। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।