Stalking Prevention। রাস্তাঘাটে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টকের শিকার হচ্ছেন?

Spread the love

রাস্তাঘাটে বর্তমানে মহিলাদের প্রায়ই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। ট্রেন, বাস বা মেট্রোতে ভিড়ের চাপে অসভ্যতার শিকার হতে হয়। একই সঙ্গে কেউ কেউ স্টকিংয়ের শিকারও হন। পরিস্থিতি গুরুতর হলে রাস্তাঘাটে বেরোতে অনেকে ভয় পান বা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন। এমন অবস্থায় পড়লে কী করণীয় জেনে নিন।

স্টকিংয়ের ঘটনা যে দিন দিন বাড়ছে, তা পরিসংখ্যানও বলছে। দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ২৫টি স্টাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এই সংখ্যাটা রীতিমতো রেকর্ড । প্রায়ই দেখা যায়, এই জাতীয় অভিযোগ নথিবদ্ধ হচ্ছে না। ২০১৪ সাল থেকে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের অধীনে স্টাকিংকে অপরাধ হিসাবে ঘোষণা করেছে। আলাদাভাবে তার পরিসংখ্যান ঘোষণা করেছে। দেখা গিয়েছে, এই মামলাগুলি ৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের সকলের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

ভারতীয় আইনে স্টকিং করা অপরাধ। যদি কোনও মহিলা এই অপরাধের শিকার হন তবে তিনি এফআইআর দায়ের করতে পারেন। এটা দুরকম ধারায় করা যায়।প্রথমটি হল তথ্যপ্রযুক্তি আইন, যা নেটদুনিয়ায় স্টকিংয়ের শিকার হলে করা যেতে পারে। দ্বিতীয়টি হল ২০১৩ সালের ফৌজদারি আইন। উভয় ক্ষেত্রেই যদি একজন ব্যক্তি আপনাকে ক্রমাগত হয়রানি করে বা এমনভাবে অনুসরণ করে যা আপনি চান না, তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায়। এ ক্ষেত্রে সে দোষী প্রমাণিত হলে তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানাও হতে পারে।

কীভাবে অভিযোগ করবেন?

আপনার কাছের যে কোনও থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন অথবা অনলাইনে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে জাতীয় মহিলা কমিশনে আপিল করতে পারেন। কমিশন আপনার হয়ে পুলিশের কাছে আপনার সমস্যা তুলে ধরবে। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পুলিশের উপর চাপও সৃষ্টি করবে। দেশের যেকোনো প্রান্তে আপনার অভিযোগ আপনি জানাতে পারেন। নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতিরোধে সারা দেশে ১০৯১ হেল্পলাইনে কল করা যায়।

কিছু  বিষয়ে অবগত থাকুন

  • স্টকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার আগে কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন।
  • এমন সমস্যায় পড়লে প্রথমেই পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের জানান।
  • নিজের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখুন। দরকার হলে মাঝে মাঝে আপনার রুটিন এবং রুট বদল করে ফেলুন। তারপরেও আপনাকে স্টক  করা হচ্ছে কি না দেখুন।
  • বর্তমানে অনেক অ্যাপের সাহায্যে নিজের জিপিএস লোকেশন প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করে রাখা যায়। প্রয়োজনে সেটিও করুন। এতে কোনও অঘটন ঘটলে দ্রুত আপনার প্রিয়জনেরা আপনার কাছে পৌঁছে যেতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *