বিগত কয়েকদিন ধরে, একাধিক টালবাহানার পর, অবশেষে ডিভোর্সে শিলমোহর দিয়েছেন সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও পৃথা চক্রবর্তী। জানান যে, দিনকয়ের আগেই আইনিভাবে আলাদা হয়েছেন দুজনে। সুদীপের দাবি, ‘অনেক চেষ্টা করেছিলাম, বিষয়টি এখনই যাতে প্রকাশ না হয়। পৃথা জানিয়ে দিল। ও যে আমাকে না জানিয়ে বিচ্ছেদের খবর এ ভাবে প্রকাশ্যে আনবে, এটা ভাবিনি।’
এদিকে সুদীপ ও পৃথার ডিভোর্সের আইনি কাগজ এসে গিয়েছে প্রকাশ্যে। আর সেখান থেকেই জানা গিয়েছে যে, ডিভোর্স প্রসিডিংস অনেক আগে থেকেই চলছিল। আদালতের নির্দেশনামা অনুযায়ী, সুদীপ ও সঞ্চারি (পৃথার আসল নাম) ২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে আলাদা আলাদা থাকছিলেন তাঁরা।
ডিভোর্সের সেই আইনি কাগজ থেকেই জানা গিয়েছে যে, দু’জনেই পরস্পরের সঙ্গে সংসার করার কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করেননি আর। যেহেতু দীর্ঘ সময় আলাদা থেকেছেন, তাই খুব সহজেই আলাদা হয়ে গিয়েছেন। আদালতে জমা পড়া হলফনামায় উভয় পক্ষই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁরা আর একে অপরের সঙ্গে বৈবাহিক জীবন কাটাতে চান না।
এদিকে আনন্দবাজারকে সুদীপ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, ২ সন্তানের মুখ চেয়ে আগামীতে এক ছাদের নীচেই বসবাস করবেন তাঁরা বলে ঠিক করেছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন যে, পেশায় ওড়িশি নৃত্যশিল্পী পৃথা আপাতত বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সামলাতে নিজের মা-বাবার কাছে গিয়ে থাকছেন।
এদিকে পৃথা ডিভোর্স ঘোষণার পর, সুদীপ ক্রমাগত তা ‘মস্করা’ বলায়, নেটপাড়ার রোষের মুখে পড়েন অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী। তুলোধনা করে নেটনাগরিকরা পৃথাকে রীতিমতো। শেষমেশ সুদীপ একপ্রাকর বাধ্যই হন সিলমোহর দিতে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদে। আপাতত তাঁর আবেদন, যাতে কেউ তাঁর ‘দুই সন্তানের মা’, প্রাক্তন স্ত্রীকে আক্রমণ না করে।২০২১ সালে যখন তাঁরা একত্রে ভাগ নেন ইস্মার্ট জোড়ি-তে, তখন নেটিজেনদের কটাক্ষ ছিল, ‘টাকার জন্য বুড়ো সুদীপকে বিয়ে করেছেন পৃথা’! বয়সে প্রায় ২৫ বছরের ছোট পৃথা। জানা যায় যে, সোশ্যাল মিডিয়াতেই নাকি আলাপ তাঁদের। পৃথার থেকেই এসেছিল প্রেম-প্রস্তাব। তবে হ্যাঁ বলতে দেরি করেননি সুদীপ। তারপর ২০১৫ সালে বিয়ে। দুই ছেলের মা-বাবাও হন দুজনে। কিন্তু বিয়ের বয়স ১০ হতে না হতেই, শেষ হল রূপকথার সফরের।
তবে কী কারণে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত, তা খোলসা করেননি কোনো পক্ষই। সুদীপ সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেও, পৃথা থেকে গিয়েছেন অধরা। প্রসঙ্গত, পৃথার আগে দামিণী বেণী বসুকে বিয়ে করেছিলেন সুদীপ।