রাজনৈতিক কারণের জন্যই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনেনি তৎকালীন জো বাইডেন(Joe Biden) প্রশাসন। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন স্পেস এক্সের কর্তা ইলন মাস্ক। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ২৮৬ দিন পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। বুধবার ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়) তাঁদের নিয়ে ইলন মাস্কের(Elon Mask) সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান ফ্লরিডার সমুদ্রে অবতরণ করেছে। আর তাঁদের প্রত্যাবর্তনের পরই বড় বার্তা দিয়েছে হোয়াইট হাউস।জানিয়েছে, ‘প্রমিস মেড, প্রমিস কেপ্ট।’ অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump) সুনীতাদের ঘরে ফেরানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তিনি রেখেছেন।
ড্রাগন ক্যাপসুলের স্প্ল্যাশডাউনের মুহূর্ত এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ইলন মাস্ক লিখেছেন, ‘মহাকাশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য স্পেস এক্স এবং নাসার টিমকে অনেক অভিনন্দন। ধন্যবাদ জানাই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এই মিশনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য।’ তবে সুনীতাদের পরিস্থিতির জন্য জো বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। স্পেস এক্স কর্তা ইলন মাস্কও একই সুরে নিশানা করেছিলেন বাইডেন সরকারকে। এখন সুনীতারা ফিরে আসার পর তাঁদেরকেই ফের একবার খোঁচা দিলেন ট্রাম্প-মাস্ক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টেসলা কর্তা আবারও একবার দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণের জন্যই সুনীতাদের ফিরিয়ে আনেনি বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার মিশনটিকে গুরুত্ব দিয়েছে। তাই সময় মতোই ফিরে এসেছেন মহাকাশচারীরা।
তাঁর কথায়, ‘আমরা অবশ্যই আগেই মহাকাশচারীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। মহাকাশচারীদের সেখানে মাত্র আট দিনের জন্য থাকার কথা ছিল এবং তারা প্রায় ১০ মাস ধরে সেখানে আছেন। স্পষ্টতই, এর কোনও অর্থ হয় না। স্পেসএক্স কয়েক মাস পরেই মহাকাশচারীদের ফিরিয়ে আনতে পারত এবং আমরা বাইডেন প্রশাসনের কাছে সেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।’
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আরও অনেক জয় আসবে।’ বুধবার ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়) সুনীতাদের নিয়ে ফ্লরিডার সমুদ্রে অবতরণ করেছে স্পেস এক্স-এর মহাকাশযান। তাঁদের সঙ্গে একই মহাকাশযানে ফিরেছেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভশ্চর আলেকজান্ডার গর্বুনভ। তবে কেউই এখনই বাড়ি যেতে পারবেন না। থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। আসলে দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার কারণে শারীরিক নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় মহাকাশচারীদের। সুনীতারাও ব্যতিক্রম নন। তাই এতদিন মহাকাশে থাকার কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারবেন না তাঁরা। পাশাপাশি মহাকাশ থেকে নতুন রোগ নিয়ে আশার আশঙ্কা থাকে, অন্যদিকে পৃথিবীর জীবাণুতেও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের। তাই কোয়োরেন্টিনই একমাত্র উপায়।