ঘরের মেয়ে পাড়ি দিয়েছিল মহাবিশ্বে। সপ্তাহখানেকের জন্য। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা বাড়তে বাড়তে ৯ মাস পেরিয়ে যায়। ফলে বাড়ছিল উদ্বেগ। অবশেষে সমস্ত উদ্বেগের অবসান। পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনীতা উইলিয়ামস(Sunita Williams)। পিতৃকুলের শিকড়ে সুনীতার যোগ ভারতে। তাই তিনি ‘বাড়ি’ ফিরতেই আনন্দে আত্মহারা তাঁর পৈতৃক গ্রাম ঝুলাসান। গুজরাটের(Gujrat) ওই গ্রামের সাধারণ মানুষ পথে নেমে আসেন উদযাপন করতে। তাঁদের দেখা গিয়েছে আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মাততে।
কিন্তু কবে ভারতে আসবেন সুনীতা? এব্যাপারে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তাঁর ভ্রাতৃবধূ ফাল্গুনী পাণ্ডিয়া বলছেন, ”একদম সঠিক কোনও তারিখ বলতে পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত, অতি শিগগিরিই ও ভারতে আসবে। এই বছরের মধ্যেই।” আর সুনীতা গ্রামে ফিরলেই হবে সামোসা পার্টি। এত কিছু থাকতে সামোসাই কেন? আসলে হৃদয়ে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়ায় সুনীতা সামোসার বিরাট ফ্যান। মহাকাশ স্টেশনেও তাঁর খাদ্য তালিকায় ছিল এই বস্তুটি! আর তাই তিনি এদেশে এলে পার্টি দেওয়া হবে সামোসারই। বলছেন ফাল্গুনী।
তবে সুনীতা দেশে ফেরার আগে তাঁর পরিবারও ভারত থেকে যেতে পারে মার্কিন মুলুকে। অথবা অন্য কোথাও। একসঙ্গে। ছুটি কাটাতে। ফাল্গুনী বলছেন, ”আমরা একসঙ্গে ছুটি কাটাতে যাওয়ারও পরিকল্পনা করে রেখেছি। সবাই মিলে একসঙ্গে সময় কাটাতে মুখিয়ে রয়েছি সকলে।” সেই সঙ্গেই জানাচ্ছেন, ফ্লোরিডার সৈকতে বেলুনে চড়ে সুনীতাদের নেমে আসার দৃশ্যটি তাঁদের মুগ্ধ করেছে। তিনি বলছেন, ”ওই দৃশ্যটা যেন বিমূর্ত!”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৫ নাগাদ শুরু হয় সুনীতাদের ফেরার যাত্রা। এরপর বুধবার আটলান্টিক মহাসাগরে নিরাপদে অবতরণ করানো হয় তাঁদের। গোটা ঘটনার লাইভ সম্প্রচার করে নাসা। সমুদ্রে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হয় মার্কিন নৌসেনার বোট। সেখান থেকে হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে জাহাজে তোলা হয় সুনীতাদের। এরপর ড্রাগন ক্যাপসুল থেকে ৮টে ২২ নাগাদ হাসিমুখে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন সুনীতা উইলিয়ামস। সেখান থেকে তাঁরা রওনা দেন হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টারের উদ্দেশে। আগামী কয়েকদিন এখানেই থাকবেন মহাকাশচারীরা।