পরীক্ষা শেষ। রেজাল্টও বেরিয়ে গিয়েছে অনেকের। আর তারপর থেকে একেবারে সকাল থেকে মোবাইলে রিলস দেখতে বসে যাচ্ছে অনেকেই। কারোর বয়স ১০ কারোর বয়স ৭। তাতে কী! সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডুবে আছে মোবাইলে।
এদিকে ছোটরা যাতে সমাজমাধ্যম দেখতে না পারে তার জন্য নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। , শুক্রবার সেই মামলার ব্যাপারে কী জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট সেটা জেনে নিন। তবে আনন্দবাজার ডট কমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছেআদালত জানিয়েছে এটা নীতিগত বিষয়। তাই আদালত এতে অংশগ্রহণ করতে চায় না। বিচারপতি বিআর গভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর বেঞ্চ জানিয়েছে মামলাকারী এব্যাপারে আইন আনার জন্য আবেদন করতে পারেন।
মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন ১৩ বছরের নীচে শিশুদের সমাজমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হোক। জেপ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন এই নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। ওই সংগঠনের দাবি ছোটদের জন্য বেশ বিপদ ডেকে আনছে সোস্যাল মিডিয়ার অত্যাধিক ব্যবহার। এর জেরে শিশুদের মনের পাশাাপাশি শরীরের উপরেও নানা প্রভাব ফেলছে। সেকারণে ১৩ বছরের নীচে শিশুরা যাতে সমাজমাধ্যম ব্য়বহার করতে না পারে সেকারণে রাশ টানার জন্য় আবেদন করেছিল ওই সংস্থা। সেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শিশুরা যাতে সমাজমাধ্যম ব্যবহার করতে না পারে সেকারণে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা করা হোক।
তবে মামলাকারী সংগঠন কেবলমাত্র ১৩ বছর বয়সি নয়, ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্যও সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারির আবেদন করেছিল। শিশু ও কিশোরদের উপর সমাজমাধ্যম কী ধরনের প্রভাব ফেলছে তা জানিয়েছিলেন মামলাকারী। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছিল মামলাকারীদের তরফে।
তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিষয়টি নীতিগত বিষয়। এনিয়ে আইন আনার জন্য সংসদকে বলুন। আমরা এই আবেদনের নিষ্পত্তি করছি।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ঘরে ঘরে এই একই সমস্যা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোবাইলে ডুবে আছে শিশু কিশোররা। পড়াশোনা লাটে উঠছে সেটাই কেবল নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উপর অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়ছে। অভিভাবকরাও ক্রমশ উদ্বেগের মধ্য়ে পড়ছেন। কিন্তু মোবাইল, সমাজমাধ্য়ম থেকে শিশু কিশোরদের সরিয়ে দিলে অনেকে আবার খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। একেবারে উভয় সংকট। সেকারণেই এবার সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারির আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।