লোকসভা নির্বাচনে বড় ইস্যু ছিল সন্দেশখালি(Sandeshkhali) কাণ্ড। কারণ এই ইস্যুকে সামনে রেখে লড়াই করেছিল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের(Kolkata Highcourt) দেওয়া সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালতে। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে জাতীয় মহিলা কমিশন সরব হয়ে ওঠে। আর ঠিক তার কয়েকদিন পর সন্দেশখালি নিয়ে স্টিং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তাতে বেকায়দায় পড়ে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ এই ঘটনা সাজানো সেটা প্রকাশ্যে চলে আসে।
তৃণমূল কংগ্রেস সন্দেশখালির মহিলাদের উপর যৌন অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। আর তা নিয়ে হাজির হয় সিবিআই থেকে এনএসজি। আজ, সোমবার সন্দেশখালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে(Supreme court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন এবং জমি দখল করার অভিযোগ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তাতে সিবিআই(Cbi) তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। গত ২৯ এপ্রিল রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টে জানান, এই মামলা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। সেগুলি আদালতে জমা দেওয়ার জন্য ২–৩ সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। তখন বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ জানায়, শুনানি মুলতুবি থাকলেও তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। ইতিমধ্যেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন বিজেপির রেখা পাত্রকে পরাজিত করে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত। সুতরাং সন্দেশখালি ইস্যুতে সিবিআই আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। সেখানে সিবিআই অফিসারদের তদন্ত করতে আসতে দেখা যাবে। যেটা রাজ্য সরকার চায়নি। কারণ রাজ্যের দাবি, যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যে। কারণ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার দুটি স্টিং অপারেশন ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে এবং একটি অডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যাতে বোঝা যায় বিজেপি চক্রান্ত করে পুরো বিষয়টি সাজিয়ে করেছে। তবে সেই ভিডিয়ো এবং অডিয়ো যাচাই করে দেখেনি ইনিউজ বাংলা।
সোমবার এই মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, ‘যেখানে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের এত অভিযোগ উঠেছে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে কেন রাজ্য সরকার আলাদা করে আগ্রহ দেখাচ্ছে? কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে রাজ্য?’ জমি দখল এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল সন্দেশখালি এলাকায়। সেই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তখন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। আজ বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, ‘একমাস ধরে রাজ্য সেখানে কিছু করেনি। কিন্তু কেন কোনও একজনকে বাঁচাতে চাইছে রাজ্য।’ এতদিন লোকসভা নির্বাচন ছিল বলে এই মামলা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এবার প্রায় দু’মাস পর সুপ্রিম কোর্টে উঠল।