কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপীর মন্তব্যে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। সদ্য তিনি আদিবাসী কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রক নিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন। যা ঘিরে কেরলের রাজনীতি তোলপাড়। বাম নেতা থেকে আদিবাসী সংগঠনের নেতারা সুরেশ গোপীর মন্তব্য ঘিরে তুমুল সমালোচনার সুর চড়া করেছেন। যদিও বিতর্কের মাঝে নিজের মন্তব্যের ব্যখ্যাও করেছেন সুরেশ গোপী(Suresh Gopi)।
শিয়রে দিল্লি ভোট। তার আগে, বিজেপির প্রচারসভায় পৌঁছে অভিনেতা থেকে নেতা হয়ে ওঠা সুরেশ গোপী বলেন, আদিবাসী কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব যদি কোনও ‘ব্রাহ্মণ বা নাইডু’র মতো উচ্চবর্ণের কারোর উপর থাকে, তাহলে তা উন্নয়নমূলক হবে। একইসঙ্গে তিনি বলছেন, আদিবাসী কোনও নেতাকে দেওয়া উচিত উচ্চবর্ণের সম্প্রদায়ের কল্যাণকর ক্ষেত্রের দায়িত্ব। তবে উচ্চবর্ণ ও ‘ব্রাহ্মণ’ ইস্যুতে সুরেশ গোপীর মন্তব্যে উঠেছে তুমুল ঝড়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপী তাঁর মন্তব্যে বলেন,’ আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাইরের কাউকে তাঁদের কল্যাণে (মন্ত্রক) নিয়োগ করা হোক এটাই আমার স্বপ্ন ও প্রত্যাশা। একজন ব্রাহ্মণ বা নাইডুকে দায়িত্ব নিতে দিন – উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে। একইভাবে, অগ্রগামী (উচ্চবর্ণের)সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য উপজাতীয় নেতাদের পোর্টফোলিও (দায়িত্ব) দেওয়া উচিত।’ তিনি একইসঙ্গে বলেন,’ আমাদের গণতান্ত্রিত ব্যবস্থাপনায় এমন পরিবর্তন হওয়া উচিত।’ আদিবাসী বিষয়ক পোর্টফোলিও পরিচালনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, ত্রিশূরের এই সাংসদ বলেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁকে এই বিষয়ক মন্ত্রিত্ব বরাদ্দ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি একইসঙ্গে বলেন,’যাইহোক, পোর্টফোলিও বরাদ্দের ক্ষেত্রে কিছু নজির রয়েছে’।
গোপীর মন্তব্য কেরালা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এদিকে, কেরলে সিপিআই রাজ্য সম্পাদক বিনয় বিশ্বম, গোপীকে ‘চতুর্বর্ণের পাইপার’ (বর্ণ ব্যবস্থা) বলে অভিহিত করেছেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ানের পদত্যাগেরও আহ্বান জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ফেডারেল নীতি অবমাননা এবং কেরলকে অপমান করার অভিযোগে। তিনি দাবি করেছেন যে এই দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে বিজেপিকে তার অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত, যা তিনি উপজাতি বিরোধী এবং কেরল বিরোধী বলে অভিহিত করেছেন। বিশিষ্ট আদিবাসী নেতা সি কে জানুও গোপীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিতর্কের মাঝে নিডের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করেছেন সুরেশ গোপী। তিনি বলেন,’ আমি কাউকে ভাল বা খারাপ হিসাবে লেবেল করিনি, আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল এই ফ্রেমওয়ার্ক থেকে মুক্ত করা।’