এমন সরস্বতী পুজো এর আগে বাংলায় কবে হয়েছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। কোথাও কলেজের ভেতরে হচ্ছে সরস্বতী পুজো, আর বাইরে পুলিশ পাহারা। কোথাও আবার দেখা গিয়েছে প্রাথমিক স্কুলের সরস্বতী পুজোয় যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় তার জন্য় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এনিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্য়ে তরজা কার্যত চরমে উঠেছে।
এদিকে এবার এই সরস্বতী পুজো নিয়ে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি লিখেছেন, তৃণমূলের সাব্বির আলি, আলিমুদ্দিন মণ্ডলকে ধন্য়বাদ। হিন্দুরা অবশেষে জেগে উঠেছেন। ঐক্যবদ্ধতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অভাবে সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যে হুঁশিয়ারি আসছিল সেটা বুঝতে পেরেছেন তাঁরা। এই প্রথম শ্রী শ্রী সরস্বতী পুজো আজ হয়েছে খেজুরি মক্তব প্রাইমারি স্কুলে( প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৮৮৫ সালে)। এটা আমার জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ২ নম্বর ব্লকে রয়েছে। ১৪০ বছরের স্কুলের ইতিহাসে এটা প্রথমবার। এখানে সরস্বতী পুজো ও পূজো অর্চনা ও পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। লিখেছেন শুভেন্দু।
শেষে তিনি লিখেছেন জাগো হিন্দু জাগো।
এখানেই শেষ নয় তিনি নদিয়ার হরিণঘাটার একটি স্কুলের সরস্বতী পুজো নিয়েও পোস্ট করেছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, নদিয়ার হরিণঘাটার অন্তর্গত নগরউখড়া দাসপোলডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা যাবে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মণ্ডল।
এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে জোট বাঁধতেই উবে গেলো সব হুমকি ধমকি চোখ রাঙানি। কচিকাঁচা পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা উপস্থিত হন। নির্বিঘ্নেই পুজো হয়েছে আর পাঁচটা স্কুলে যেমন পুজো হয়ে থাকে তেমন ভাবেই।
হরিণঘাটার নগরউখড়া এলাকার এই ঘটনা প্রমাণ করে যে একতাই শক্তি। এক থাকলে সুরক্ষিত থাকব আর বিভাজিত হলে রক্ষা নেই।
এদিকে পুলিশ পাহারায় সরস্বতী পুজো করা নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বিজেপি এমপি সৌমিত্র খাঁ। তিনি জানিয়েছেন, লজ্জার ব্যাপার। পুলিশ পাহারায় সরস্বতী পুজো হচ্ছে লজ্জার ব্যাপার।
পুজো করতে দেব না। এরকম কোনও ঘটনা হয়নি।বললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
বাগদেবী কোনও দিন কল্পনাও করেননি যে এসপিজি পাহারায় তাঁর পুজো হবে। …কোনও কলেজে ছাত্র সংসদ নেই। যারা ভাবতেন ছাত্র সংসদে রাজনীতি হয়, এখন বোঝা যাচ্ছে দখলদারিতে বেশি রাজনীতি হয়। বললেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।