২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে শুক্রবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে তার সহযোগী কে ছিল এবং কারা এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল, তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাহাউরকে। পাশাপাশি শীঘ্রই এক রহস্যময় ‘সুরক্ষিত সাক্ষী’র মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে রানাকে। এই সাক্ষী ২০০৬ সালে মুম্বাইয়ে ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে স্বাগত জানিয়েছিল বলে জানা যায়। এই আবহে তদন্তকারীদের অসহযোগিতা করার চেষ্টা করলেও এই সাক্ষীর সামনে রানার পর্দা ফাঁস হতে পারে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা।
শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁকে দিল্লির লোধি রোডে এনআইএ-র সদর দফতরে নিয়ে আসা হয় তাকে। সকাল পর্যন্ত বিশ্রামের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাহাউরকে এবং তারপরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় তার। এই প্রথম ভারতীয় তদন্তকারীরা সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করছে রানাকে। এর আগে ২০১০ সালের জুন মাসে আমেরিকায় হেডলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনআইএ-র একটি দল।
এদিকে সেই রহস্যময় সাক্ষী কে? দাবি করা হচ্ছে, এই সাক্ষী রানার ছেলেবেলার এক বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। ডেভিড হেডলির সঙ্গেও তার যোগ ছিল। এর আগে ২০০৬ সালে হেডলির মুম্বই সফরের সময় সব বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল এই সাক্ষী। এই আবহে এনআইএ আশা করছে, সেই সাক্ষীর মুখোমুখি হলে রানা অনেক কথা স্বীকার করবে। শুধু তাই নয়, তাদের আরও গোপন অভিসন্ধির কথাও প্রকাশ্যে আসতে পারে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ২০০৯ সালে এফবিআইয়ের করা রানা ও হেডলির কথোপকথনের রেকর্ডিং রয়েছে রানার কাছে।
এদিকে তদন্তে জানা গেছে যে ২০০৮ সালে রানা দুবাইয়ে আরেকজন হামলার পরিকল্পনাকারীর সাথে দেখা করেছিল। এনআইএ আধিকারিকরা জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রানা বা হেডলি যেসব জায়গায় গিয়েছে সেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এদিকে ২০০৯ সালে দিল্লি, গোয়া, পুষ্কর, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের মতো একাধিক স্থানের ভিডিয়ো ও ছবি পাওয়া গিয়েছিল হেডলির কাছে। হেডলি সেই জায়গাগুলির রেকি করে বলে জানা যায়। সেই বিষয়েও রানাকে জেরা করা হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।