Taslima Narin।  ‘মগজধোলাইয়ের সময় মস্তিস্ক যৌনাঙ্গ দ্বারা রিপ্লেসড…’!

Spread the love

ধর্মান্ধতা নিয়ে আওয়াজ তুলে বরাবরই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। শুধু তাই নয়, নিজের বাংলাদেশে বহু বছর পা রাখতে পারেননি। যদিও তাতে খুব একটা দমার পাত্রী নন তিনি। বরং, নিজের মতো করে হামেশাই লেখালিখি করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিগত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশের অস্থির অবস্থা নিয়েও যেমন ভারতে বসেই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিবাদ। 

তসলিমার একটি পোস্ট খুব ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে তিনি মাদ্রাসার পঠন-পাঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘লক্ষ্য করেছি মাদ্রাসায় পড়া ছেলেগুলো ভয়ঙ্কর সব গালি দেয়। সবই যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত। অনেকে বলে মগজধোলাইয়ের সময় এদের মস্তিস্ক যৌনাঙ্গ দ্বারা রিপ্লেসড হয়েছে। এই মোল্লা মৌলবীগুলো আজকাল পুরুষের চার বিয়েকে হালাল, এবং উত্তম বলে রায় দিচ্ছে। চার বিয়ের উপকারিতা এরা এমন ভাবে বর্ণনা করছে, যে, মনে হচ্ছে কদিন পরই একে ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য বলে দাবি করবে।’

এরপর তসলিমা আরও লেখেন, ‘ইউটিউবেও দেখলাম দুই সতীন বা তিন সতীন নিয়ে সংসার করা মেয়েদের ভিডিওগুলো ভাইরাল হচ্ছে। আসলে মানুষ জানতে চায় তারা থ্রি-সাম বা ফোর-সাম করে কি না বা করলে কীভাবে করে। গ্রুপ সেক্স করার ইচ্ছে মানুষের এখন প্রচণ্ড। জান্নাতের হুরদের সঙ্গে, তাদের আশা, তারা আল্লাহর চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রুপ সেক্স তো করবেই, পর্নহাবে দেখা গ্যাংব্যাংটাও যদি করা যায়, মন্দ হবে না।’

এক জনৈক, যিনি মুসলিম, তসলিমার পোস্টে মন্তব্য করলেন, ‘মাদ্রাসায় তো বলাতকার বৈধ। সেখান থেকেই শিক্ষা নিয়ে এসেছে। এর চেয়ে ভালো কী আশা করা যায়।’ এক হিন্দু মন্তব্য করলেন, ‘হুম, অ্যাংরি রিয়্যাকশনগুলো দেখে মনে হচ্ছে যে আপনার স্টেটমেন্টটা সত্যি।’

আরেকজন আবার লিখলেন, ‘এই বিষয়টা আমি ও মাঝে মধ্যে চিন্তা করি, লেখাপড়া জানা আধুনিক মেয়েগুলো যে সতীন আর স্বামী নিয়ে সুখে সংসার করছে। এরা আসলে শুচ্ছে বা ঘুমাচ্ছে কীভাবে? একই ঘর নাকি আলাদা ঘর, একই বিছানা নাকি আলাদা বিছানা।’ চতুর্থজনের মন্তব্য,  ‘খুব সঠিক আলোকপাত এই প্রসঙ্গে। এই দিকটা ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে। খুবই বিকারগ্রস্ত একটা মানসিকতা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *