Tata Steel Chess Masters। টাইব্রেকারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশকে হারিয়ে চেস মাস্টার্স শিরোপা জয় প্রজ্ঞার

Spread the love

অঘটনের সাক্ষী টাটা স্টিল চেস মাস্টার্স। দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডি গুকেশকে হারিয়ে চমক দিলেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। নেদারল্যান্ডের উইজক আন জি-তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টাটা স্টিল চেস মাস্টার্স। রবিবার সেখানে মুখোমুখি হয়েছিল ভারতের দুই গ্র্যান্ড মাস্টার ডোম্মারাজু গুকেশ এবং রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ ৷ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ট্রাইব্রেকারে ২-১ ব্যবধানে গুকেশকে পরাজিত করেন প্রজ্ঞানন্দ। সম্প্রতি কনিষ্ঠতম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়েছিলেন গুকেশ। এর আগে ২০০৬ সালে বিশ্বনাথন আনন্দ টাটা স্টিল চেস মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তারপর এদিন প্রজ্ঞানন্দ ভারতীয় দাবাড়ু হিসাবে এই শিরোপা নিজের নামে করলেন।

রাউন্ড রবিন পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় ১৩টি ক্লাসিকাল রাউন্ড শেষে দু’জনের পয়েন্ট ছিল ৮.৫। উল্লেখযোগ্য ভাবে গুকেশ এবং প্রজ্ঞা- দু’জনেই নিজেদের ১৩ তম রাউন্ডে পরাজিত হন। অর্জুন এরিগাইসির কাছে হারেন গুকেশ। ৩১ চালে তাঁকে পরাজিত করেন অর্জুন। অন্যদিকে জার্মানের ভিনসেন্ট কেইমারের কাছে পরাজিত হন প্রজ্ঞানন্দ। ফলত খেতাব নির্ণয়ের জন্য ব্লিৎজ টাইব্রেকারের আশ্রয় নেওয়া হয় ৷ যেখানে তিন মিনিটের দু’টি গেমের মাধ্যমে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করা হতো।

রবিবারের প্রথম ম্যাচে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন গুকেশ। বাজিমাত করেন তিনি। খেতাব জয়ের জন্য দ্বিতীয় গেমে ড্র করলেই চলত তাঁর। কিন্তু অসাধারণ কামব্যাক করেন প্রজ্ঞানন্দ। ম্যাচ জিতে ফলাফল সমান করে দেন তিনি। ফলে ম্যাচ চলে যায় সাডেন ডেথে। সেখানে গুকেশের ভুলের সুযোগ উঠিয়ে কিস্তিমাত করে যান প্রজ্ঞানন্দ। খেতাব হাতছাড়া হতেই হতাশ হয়ে পড়েন গুকেশ।

উল্লেখ্য, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গুকেশের এটা প্রথম টুর্নামেন্ট হার ছিল। গত বছর অসাধারণ কেটেছিল এই দুই দাবাড়ুর। চিনের ডিং লিরেনকে ৭.৫-৬.৫ ফলাফলের ব্যবধানে পরাজিত করে ১৮ বছর বয়সে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছিলেন গুকেশ। বুডাপেস্টে ৪৫ তম চেস অলিম্পিয়াডে সোনা জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন গুকেশ এবং প্রজ্ঞানন্দ। এছাড়াও ২০২৪-এ লন্ডনে আয়োজিত WR মাস্টার্সে নিজের গুরু বিশ্বনাথন আনন্দকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। বছর ঘুরতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে আরও এক নজির গড়লেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *