Tathagata Roy। অনুকূল ঠাকুরকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিতর্ক

Spread the love

ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ভক্ত ও অনুগামী বা ‘অনুকুল ঠাকুরের সৎসঙ্গ’-এর বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে জোর আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। এবার সেই আলোচনায় ইতি টানার আবেদন জানালেন ‘দক্ষিণপন্থী হিন্দু চিন্তাবিদ’ তথা বাংলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথাগত রায়(Tathagata Roy)।

শনিবার রাতে নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন তথাগত। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘অনুকূল ঠাকুরকে নিয়ে বচসা হচ্ছে দেখছি। আমার একটা বিনীত নিবেদন আছে। যাঁরা অনুকূল ঠাকুরের ভক্ত নন (যেমন আমি) তাঁরা ঠাকুরের বা তাঁদের ভক্তদের বিরূপ সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন, এই আমার অনুরোধ। অন্যথায় এমনিতেই শতধা বিভক্ত হিন্দু সমাজকে আরো বিভাজন করা হবে। আমরা তো হিন্দু সমাজের একীকরণ চাই! তার মধ্যে কেউ রামকৃষ্ণ মঠ-মিশনের, কেউ ভারত সেবাশ্রম সংঘের, কেউ গৌড়ীয় মঠের, কেউ ব্রাহ্মসমাজের, কেউ কট্টর নাস্তিক থাকুন না!’

সম্প্রতি বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম এবং সমাজমাধ্যমে অনুকূল ঠাকুরের পরিবারকে নিয়ে বিতর্কিত আলোচনা শুরু হয়েছে এবং তার জের সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভাজন ও মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট ঘটনার জেরে অনেকেই নাকি অনুকূল ঠাকুর ও তাঁর অনুগামীদের সমালোচনা করছেন। বিষয়টি তথাগত রায়েরও নজর এড়ায়নি। আর সেই জায়গা থেকেই শনিবার উপরোক্ত পোস্টটি করেন তথাগত। তাতে তাঁর আশঙ্কা, এই ধরনের ঘটনায় বৃহত্তর হিন্দু সমাজের মধ্যে আরও বেশি করে বিভাজন সৃষ্টি হবে।

সংশ্লিষ্ট পোস্টে তথাগতর স্পষ্ট জানিয়েছেন, হিন্দুরা সকলেই অনুকূল ঠাকুরের ভক্ত নন। এমনকী, তিনি নিজেও যে সেই দলে পড়েন, তাও উল্লেখ করেছেন তথাগত।

তাঁর বক্তব্য, যাঁরা অনুকূল ঠাকুরের ভক্ত নন, তাঁদের অনুকূল ঠাকুর বা তাঁর শিস্যদের নিয়ে সমালোচনা করা উচিত নয়। তাই, তাঁদের এমন যে কোনও আচরণ থেকেই বিরত থাকা উচিত। কারণ, তাতে মতবিরোধের জেরে হিন্দুদের মধ্যেই নতুন করে একে অপরের থেকে দূরত্ব তৈরি হবে।

তথাগত রায়ের করা সেই পোস্টে অনেকেই তাঁকে সমর্থন করে মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ আবার পালটা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘অনুকুল ঠাকুরের সৎসঙ্গ’-এর আচরণ, অবস্থান ও মানসিকতা নিয়ে।

এমনকী, অনেকে আবার কেন অনুকূল ঠাকুরের অনুগামীদের কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করতে বেশ কিছু পালটা লিংক পোস্ট করেছেন। সেই সমস্ত লিংকের পোস্টগুলি তথাগত যাতে নিজেও দেখেন, সেই অনুরোধও করতে দেখা গিয়েছে সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *