Tathatagata Roy on Ranjani Srinivasan। ভারতীয় ডক্টরেট ছাত্রীর ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের প্রশংসায় তথাগত রায়

Spread the love

সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ছাত্রী রঞ্জনি শ্রীনিবাসনের ভিসা সম্প্রতি বাতিল করেছে আমেরিকা। আর তার জন্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায় ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়(Tathagata Roy)। এদিকে জানা গিয়েছে, রঞ্জনি ইতিমধ্যেই আমেরিকা ছেড়েছেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নগর পরিকল্পনায় ডক্টরেট করছিলেন তিনি। তিনি এফ-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন পড়াশোনার জন্যে। একই সঙ্গে তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে সমর্থন দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছে ডিএইচএস। শ্রীনিবাসনের অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ আকর্ষণীয়। এহেন ভারতীয়র মার্কিন ভিসা বাতিল প্রসঙ্গে কী বললেন তথাগত রায়(Tathagata Roy)?

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ মার্কিন দূতাবাসকে ট্যাগ করে তথাগত রায় লেখেন, ‘প্রত্যয় এবং সাহসের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্য নিয়ে বিদেশের গিয়ে সেখানে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার অধিকার নেই কারও।’ উল্লেখ্য, শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্যালেস্তিনীয় সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে সমর্থন করেন এবং সেই সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই নিয়ে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ৫ মার্চ স্টেট ডিপার্টমেন্ট শ্রীনিবাসনের ভিসা বাতিল করে। ১১ মার্চ সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে তিনি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গিয়েছেন। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ পেয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। এদিকে শ্রীনিবাসন যে সহিংসতার পক্ষে সওয়াল করেছেন, এমন কোনও প্রমাণ তাদের কাছে আছে কি না, তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানাননি মার্কিন কর্মকর্তারা। 

রঞ্জনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে নগর পরিকল্পনায় এমফিল সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া তিনি স্কুল অফ আর্কিটেকচারের স্নাতক। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ ডিজাইন কোর্সও করেছেন। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াগনর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুসারে, তিনি ভারতের প্রাক-নগরায়নের শহরগুলি নিয়ে অধ্যয়ন করছিলেন। শ্রমিকদের রাজনৈতিক অর্থনীতির ওপর তাঁর বিশেষ নজর ছিল। এছাড়া বর্তমান সময়ের কর্মসংস্থানের অভাবের দিকেও নজর দিচ্ছিলেন তিনি।

এই বিতর্কের মাঝে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বলেছিলেন, ‘আমেরিকায় বসবাস ও পড়াশোনার ভিসা পাওয়াটা সৌভাগ্যের বিষয়। আপনি যখন সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের পক্ষে কথা বলেন তখন সেই বিশেষাধিকার প্রত্যাহার করা উচিত এবং আপনার এই দেশে থাকা উচিত নয়। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী, যিনি সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন, তিনি সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত হয়েছেন দেখে আমি আনন্দিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *