পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতরে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মহিলাকে উদ্ধারকারী তৃণমূল কর্মীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মী শীটের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মানস ভুঁইয়া নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের মায়ের দাবি, তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতেই তাঁর ছেলেকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে একজন মহিলার সম্ভ্রম রক্ষা করে তাঁর ছেলে জেলে গিয়েছে বলে তিনি গর্বিত।
গত রবিবার নারায়ণগড়ের তেঁতুলমুড়ি এলাকায় ‘বিজেপি করি না’ বলে মুচলেকা দিতে হবে বলে বিজেপির এক প্রাক্তন মহিলা কর্মীকে ডেকে পাঠান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মী শীট। তখন সেখানে ছিলেন তৃণমূল নেতা শক্তি ভুঁইয়া। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতের মহিলাকে ধর্ষণ করেন ২ জন। তখন সেখানে পৌঁছে যান স্থানীয় তৃণমূলকর্মী মানস ভুঁইয়া। তিনি মহিলাকে উদ্ধার করেন ও গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। সেই ফুটেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘তাড়াতাড়ি এখান থেকে পালিয়ে চলো। নইলে এরা ফাঁসিয়ে দেবে।’ অবশেষে তাঁর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
ওদিকে ওই ঘটনায় লক্ষ্মী শীট ও শক্তি ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে নারায়ণগড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যালে শারীরিক পরীক্ষা হয় নির্যাতিতার। তৃণমূলের দাবি, সোমবার মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এলে জানা যায় ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। এর পরই মানস ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ধর্ষণে অভিযুক্ত ২ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।
ধৃত যুবকের মা অনিমা ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা জানতে পারি পার্টি অফিসের ভিতরে এক মহিলাকে নির্যাতন করা হচ্ছ। মহিলা হয়ে মহিলার ওপর এই নির্যাতন মেনে নিতে পারিনি। তাই প্রতিবাদ করি। আমার ছেলে একজন মহিলার সম্ভ্রম বাঁচিয়ে জেল খাটছে। মা হিসাবে এজন্য আমি গর্বিত।’