TMC MLA on Mothabari Violence Details। মোথাবাড়ির অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সাবিনা ইয়াসমিন

Spread the love

মোথাবাড়ি হিংসায় তপ্ত বাংলার রাজনীতি। এই আবহে তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে এলাকায় দাপাদাপি করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সাবিনা ইয়াসমিন অবশেষে মুখ খুললেন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ নিয়ে। তাঁর দাবি, বর্তমানে মোথাবাড়ির পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘আমি মোথাবাড়ি ঘুরে এসেছি। মানুষ বাজার করছে। যান চলাচল স্বাভাবিক। শান্তির পরিবেশে সবাই মিলেমিশে কাজ করছে। মোথাবাড়ির সেই জায়গায় সবাই ফের হাসিখুশি রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সহযোগিতায় আড়াই দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পেরেছি। যেখানে মনে হয়েছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও ফোন করেছি।’ 

কীভাবে অশান্তি ছড়ায় মোথাবাড়িতে? সাবিনা বলেন, ‘এই ঘটনার সূত্রপাত গত ২৫ মার্চ। এরপর ২৭ মার্চ মোথাবাড়ি পিডাব্লুডি মাঠে মুসলিম ভাইদের জমায়েতের ডাক দিয়েছিল কারা? সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই জমায়েতের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। পরে আমরা সাংগঠনিকভাবে জানিয়ে দিই, কোনও জমায়েত করা যাবে না। কংগ্রেস, সিপিএম জমায়েতের ডাক দিয়েছিল। এবং বিজেপির কিছু লোক তাদের সাহায্য করেছে। কোনও বয়স্ক লোক সেদিন জমায়েতে অংশ নেয়নি। ১৫ থেকে ২২ বছর বয়সি ছেলেরা জমায়েত করেছিল। তাদের প্রায় ৭০ শতাংশ মোথাবাড়ির বাইরের। এই ছোট ছোট বাচ্চাদের কে ইন্ধন জুগিয়েছিল? ওইদিন কিছু ভাঙচুর হয়। তারপর আরও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক লড়াই অন্যরকম। সাম্প্রদায়িক লড়াই অন্যরকম। আমার শিক্ষা আমাকে এটা শেখায়নি যে বড় রাজনীতিবিদ হতে গেলে সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে কাজে লাগাতে হবে।’


এদিকে মোথাবাড়িতে শান্তি ফেরাতে নিজের ভূমিকা নিয়ে সাবিনা বলেন, ‘আগুন ছড়ানো সহজ। নেভাতে কেউ আসে না। সাধারণ মানুষের কাছে যান। একটাই পাগলি মেয়ে, পাঁচদিন ধরে দিনরাত এক করে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে শান্তি ফিরিয়েছি। আড়াই দিনের মাথায় শান্তি ফিরিয়েছি। একবার কৃতিত্ব দেবেন না? বিরোধীরা কেউ এগিয়ে আসেনি। আড়াই দিনে পরিস্থিতি সামলেছি। এটা কৃতিত্বের। আপনারা দেখেছেন, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি যে যেরকমভাবে পারে, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে আরও আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছে। কিছু কিছু কংগ্রেস, বিজেপির নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁরা যাঁরা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাঁরা কেউ ছাড় পাবেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *