ফের কাঠগড়ায় ট্রাফিক পুলিশ। বেআইনিভাবে জরিমানা করার পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠল জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক শিক্ষক। বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।
শিক্ষকের অভিযোগ, ট্রাফিক নিয়ম মেনেই গাড়িতে করে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে বেআইনিভাবে জরিমানা করেন ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট। তিনি এনিয়ে প্রতিবাদ জানালে ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে নানাভাবে হেনস্তা করার পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মূলত সেই অভিযোগ তুলেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শিক্ষক। যদিও ট্রাফিক পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কলকাতায় এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এই ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ উঠেছিল, দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় হাই কোর্টের ওই আইনজীবীর কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেছিলেন ট্র্যাফিক গার্ড। তবে টাকা দিতে অস্বীকার করায় আইনজীবীর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই আইনজীবী টাকা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর এবার সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জরিমানা করার অভিযোগ উঠল। এখন এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট কি নির্দেশ দেয় সেটাই দেখার। কলকাতা হাইকোর্টে দ্রুত এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শহরের অনেক প্রান্তে এভাবে জরিমানা করার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। বেসরকারি বাস সংগঠনগুলিও বেআইনিভাবে জরিমানা করার অভিযোগ প্রায়ই তুলে থাকেন। তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে মালিকদের মধ্যে।
গত মাসেই এক আইনজীবীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। হাই কোর্টের এক বিচারপতির নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্র্যাফিক গার্ডের বিরুদ্ধে। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী। সেই ঘটনায় ওই ট্র্যাফিক গার্ডকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।