রাজ্য়ের বিভিন্ন সরকারি দফতরে বদলিরর প্রথা রয়েছে। এদিকে বদলি করার নির্দেশ এলে অনেক সময় সরকারি কর্মীরা নানা জায়গায় তদ্বির শুরু করেন। কিন্তু পুলিশের ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ ফোর্সের ক্ষেত্রে এভাবে বদলির নির্দেশ এলেই তদ্বির করা সাজে না। সেক্ষেত্রে এবার রাজ্য পুলিশের তরফে একটি নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোথাও পোস্টিং পেতে একা কিংবা দলব্ধভাবে সদর দফতরে গিয়ে উর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে তদ্বির করলে সেটা শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল হবে। অন্য়দিকে গোটা বদলি প্রক্রিয়াটা অনলাইনের মাধ্যমে করা হচ্ছে। গোটা বিষয়টির মধ্য়ে আরও স্বচ্ছতা আসবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আসলে গত লোকসভার আগে রাজ্যপুলিশে প্রচুর রদবদল হয়েছিল। এদিকে নীচুতলার পুলিশকর্মীদের ফের সেই আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার দাবিতে সেই সময় গত সেপ্টেম্বর মাসে সেই পুলিশের আত্মীয়দের একাংশ সরাসরি হাজির হয়ে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনের সামনে। সেখানে গিয়ে তাঁরা তদ্বির শুরু করেছিলেন। এর জেরে অস্বস্তিতে পড়েছিল ফোর্স। তারপরই গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মহলে শোরগোল পড়ে যায়।
গত ২৫শে অক্টোবর একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশকর্মীরা ইএইচআরএমএস পোর্টালে বদলির আবেদন করতে পারবেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে একটি নতুন উইন্ডো খোলা হবে। তার ৩০ দিনের মধ্য়ে আবেদন করতে হবে। প্রতি বছর মার্চ বা এপ্রিল মাসে জেনারেল ট্রান্সফার করা হবে। ওই নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে বদলির জন্য আবেদন করা যাবে। তবে আবেদনকারীকে বদলি করা যাবে কি না তা নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার বা ইউনিট হেড একটি নির্দিষ্ট কমেন্ট লিখবেন। ১০ দিনের মধ্য়ে তিনি এই মতামত জানাবেন। এরপর সেই মতামতের উপর ভিত্তি করে রেঞ্জ আইজি বা ডিআইজি বদলি সংক্রান্ত বিষয়গুলি কার্যকর করবেন।
এদিকে কেউ যদি বিশেষ প্রয়োজনে বদলি চান তবে তাঁকে EHRMS পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। সেখানে তাঁর বদলির পেছনে কোন যুক্তি রয়েছে তা নিয়ে তাঁকে নির্দিষ্ট নথি পেশ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সাতদিনের মধ্য়ে তাঁর হায়ার অথরিটির মতামত দিয়ে সেই সব নথি আসবে পুলিশ সুপার বা ইউনিট হেডের কাছে। সেখান থেকে দশদিনের মধ্যে তিনি মতামত দেবেন। সেখানে সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট কমিটির কাছে গোটা বিষয়টি পাঠানো হবে। সেই কমিটি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।