শুল্ক নিয়ে অনড় ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump)। একদিকে ‘কালো সোমবার’ আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের। অপরদিকে আমেরিকাতেই ট্রাম্প বিরোধী আন্দোলন দেখা গিয়েছে প্রায় প্রতিটি প্রদেশে। তবে ট্রাম্পের দাবি, শুল্ক নীতিতে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না। এই আবহে আমেরিকা ও বিশ্ব বাজারে বিশাল পতনের ইঙ্গিত ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই আবহে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া, এই শুল্ক হল ‘ওষুধ’। ফ্লোরিডায় সপ্তাহান্তে গলফ খেলা শেষে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক সময় কোনও কিছু ঠিক করার জন্য ওষুধ খেতে হয়।’
ট্রাম্পের অভিযোগ, বাণিজ্য অংশীদাররা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘খারাপ’ আচরণ করেছে এবং এর জন্য জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন পূর্বতন প্রশাসনকে দোষারোপ করেছেন তিনি। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশ আমাদের সঙ্গে খুব বাজে আচরণ করেছে। কারণ এর আগে আমাদের নেতৃত্ব বোকা ছিল। তারা এটা ঘটতে দিয়েছে।’ বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারের অস্থিরতা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘বাজারে কী হতে চলেছে, আমি আপনাকে বলতে পারবা না। কিন্তু আমাদের দেশ অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সপ্তাহান্তে শুল্ক ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তাঁরা চুক্তি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
এদিকে ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, ‘চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরও অনেকের সাথে আমাদের ব্যাপক আর্থিক ঘাটতি রয়েছে। এই সমস্যাটি নিরাময় করার একমাত্র উপায় হল শুল্ক। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে এই শুল্ক থেকে। এই শুল্ক ইতিমধ্যেই কার্যকর, এবং দেখার মতো একটি সুন্দর জিনিস। এই দেশগুলির সাথে উদ্বৃত্ত বেড়েছিল ঘুমন্ত জো বাইডেনের ‘প্রেসিডেন্সি’র সময়। আমরা এটাকে উলটে দিতে চলেছি। খুব দ্রুতই আমরা এটাকে পালটে দেব। একদিন মানুষ বুঝতে পারবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শুল্ক একটি খুব সুন্দর জিনিস!’
বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে নিজের দেশকেই মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। এই আবহে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত। এর আগে গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও মার্কিন শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণ বজায় ছিল। সোমবার এর থেকেও বড় পতনের আশঙ্কা করা হচ্ছে শেয়ার বাজারে। তবে এরই মাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, ‘এটাই বড়লোক হওয়ার সময়।’ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমার শুল্ক নীতি বদলাবে না।’ কিন্তু এতে কীভাবে আমেরিকার লাভ হতে পারে? ট্রাম্পের দাবি, শুল্কের ভরে অন্যান্য দেশগুলি আমেরিকায় রফতানি করার বদলে, সরাসরি সেখানেই কারখানা তৈরি করবে। এতে আমেরিকার অর্থনীতি ফুলে-ফেঁপে উঠতে পারে।