Tulika-Sougata। ‘টলিউডের বি গ্রেড, সি গ্রেড সব শিল্পী..’

Spread the love

আর জি কর কাণ্ডে ইতিমধ্য়েই পথে নেমেছে টলিউড(Tollywood)। অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে পরিচালক-নাট্য় ব্য়ক্তিত্ব কেউ বাকি নেই। প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন স্বস্তিকা, সুদীপ্তা,শ্রীলেখারা। আর তারকাদের পথে নামা নিয়ে কটাক্ষ করে বসেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায়, ‘টলিউডের বি গ্রেড, সি গ্রেড সব শিল্পী, যাঁরা নায়িকা পর্যন্ত হননি, তাঁরা বিবৃতি দিচ্ছেন। কী যায় আসে? এঁরা তারকা নয়, এঁরা স্টারলেট। স্টার এবং স্টারলেটের মধ্যে পার্থক্য নিশ্চয়ই জানা আছে!’

বর্ষীয়ান সাংসদের এই কটাক্ষের এবার মোক্ষম জবাব দিলেন তুলিকা বসু। টলিউডের অন্যতম সিনিয়র অভিনেত্রী তিনি। টেলিভিশন হোক ব ছবির পর্দায় তাঁর অভিনয় বরাবর মুগ্ধ করেছে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেও পথে নেমেছেন তিনি। বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন।

নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে একটি ভিডিয়ো বার্তা শেয়ার করেন তুলিকা। নাম না করেই বর্ষীয়ান সাংসদকে উচিত জবাব দিলেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘ভোর সাড়ে চারটে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। সারারাত ছাড়া ছাড়া ঘুমোলাম। বি, সি গ্রেড? বুঝিয়ে দিলেন তো শিক্ষিত আর স্বাক্ষরের মধ্য়ে পার্থক্য আছে। আপনাদের ওখান থেকে অনেকে ফেসবুকে লিখছে খুব উলটো পালটা কথা। ভাবলাম কোথায় ধমক-টমক দেবেন, বোঝাবেন যে এটা সময় নয়। পারলেন না… বি-সি গ্রেড শিল্পীরা? আপনি নয় শুনবেন, নয় দেখবেন না হলে শুনবেন না, দেখবেন না। আপনারা দেখছেন আমরা শুনছি না… বুঝতে পেরে গেছেন না?’

চাঁচাছোলা ভাষায় তুলিকার প্রশ্ন, ‘এত মানুষ নেমে পড়েছেন সব বি-সি গ্রেডের? কী করে এসেছেন, কী করে থাকেন, সবটা ধরা পড়ে গেছে। আমরা বুঝতে পেরে গেছি… ভয় পাচ্ছেন? সুস্থ থাকুন। (হাসি) বিবেকানন্দের খুব পছন্দের একটা গান আছে না… ‘জুড়াইতে চাই কোথায় জুড়াই…’, গানটা শুনুন। আসলে আপনি জেড গ্রেডেড তো। আপনি বয়স্ক প্রণাম… ছিঃ’।

সৌগত রায় আরও বলেছিলেন, ‘দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভট্ট তারকা। কে কবে একটা সিনেমা করেছিলেন, তাঁরা স্টার নন। দুইয়ের মধ্যে তফাত আছে। এঁদের মাস ফলোয়িং নেই। শ্রেয়া ঘোষাল কিছু করেননি। অরিজিৎ আমার প্রিয় গায়ক। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে ইমম্যাচিওর, তাই এসব গান গেয়েছে।’

সম্প্রতি টলি অভিনেত্রী মৌসুমীর ভট্টাচার্যকে বডি শেমিং করায়, তাঁর পেশা নিয়ে কটাক্ষ করায় রোষের মুখে পড়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষরা। সেই তালিকায় এবার সামিল বর্ষীয়ান সৌগত রায়ও। এই অপমান সহজে হজম করছেন টলিপাড়ার শিল্পীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *