US prisoner executed by firing। ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার মার্কিন বন্দিকে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড

Spread the love

শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ ক্যারোলিনার একজন বন্দিকে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই বন্দির নাম ব্র্যাড সিগমন (৬৭)। ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ওই বন্দির। শেষবার এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ২০১০ সালে। তার ১৫ বছর পর ফের এই পদ্ধতিতে কোনও মার্কিন বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। এই ঘটনার পরেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। দক্ষিণ ক্যারোলিনা সংশোধন বিভাগ (এসসিডিসি) এর বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান অনেকে।  এছাড়াও, সিগমনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগেও কারাগারের বাইরে অনেকেই বিক্ষোভ দেখান।

জানা গিয়েছে, ৬৭ বছর বয়সি ব্র্যাড সিগমনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তিনজন স্বেচ্ছাসেবক কারাগারের কর্মী রাইফেল থেকে গুলি চালান। সিগমন সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সাধারণত দেশটিতে বৈদ্যুতিক চেয়ার বা প্রাণঘাতী ইনজেকশন এবং ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যবস্থা আছে। তবে তাঁর আশঙ্কা ছিল বৈদ্যুতিক চেয়ারে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হবে। আবার প্রাণঘাতী ইনজেকশনও বেছে নেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমেই তিনি মৃত্যুদণ্ড বেছে নেন তিনি।

উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী ফায়ারিং স্কোয়াডের একটি দীর্ঘ এবং হিংসাত্মক ইতিহাস রয়েছে। মূলত সামরিক বাহিনীতে বিদ্রোহী এবং পলাতকদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আগে আমেরিকায় এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো। এছাড়া, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং নাৎসি জার্মানিতে সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক বিদ্রোহী দমনের হাতিয়ার হিসাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। 

কী অপরাধ ছিল ব্র্যাড সিগমনের?

জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে দুটি খুন করেছিলেন সিগমন। প্রাক্তন বান্ধবীর বাবা ডেভিড এবং মা গ্ল্যাডিস লার্ককে তাঁদের গ্রিনভিল কাউন্টির বাড়িতে বেসবল ব্যাট দিয়ে খুন করেছিলেন সিগমন। প্রাক্তন বান্ধবী বেকি বারবারেকে অপহরণ করে তাঁকে হত্যা ও নিজের জীবন শেষ করার পরিকল্পনা ছিল সিগমনের। খুনের রাতে তিনি কোকেন সেবন করছিলেন এবং মদ্যপান করছিলেন। 

আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, তিনি তাঁর এক বন্ধুকে বলেছিলেন যে তিনি বেকিকে অপহরণ করবেন এবং তাঁর বাবা-মাকে বেঁধে রাখবেন। কিন্তু, তাঁদের খুন করেন তিনি। সেই ঘটনায় ২০০২ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথা চালু ছিল। পরে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুনরায় ১৯৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড চালু হয়। তারপর থেকে দক্ষিণ ক্যারোলিনায় ৪৬ জন বন্দির এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এদের মধ্যে সিগমন ছিলেন সবচেয়ে বয়স্ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *