শত শত অভিবাসীকে এল সালভাদরে পাঠা আমেরিকা(America)। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের বিচারক বিদেশি শত্রু আইন আইনের আওতায় অভিবাসীদের বহিষ্কারের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। তারপরও ডোনাল্ড ট্রাম্পের(Donald Trump) প্রশাসন ২০০ ভেনেজুয়েলানকে এল সালভাদরের জেলে রাখার জন্যে পাঠিয়েছে। এদিকে অবৈধবাসীদের নিয়ে আরও একটি বিমান গিয়েছে হন্ডুরাসে। উল্লেখ্য, ১৭৯৮ সালের শত্রু আইনের অধীনে ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ গোষ্ঠীর ৩০০ জনকে নির্বাসিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই গোষ্ঠীকে ইতিমধ্যেই জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তকমা গিয়েছে মার্কিন সরকার। এই আবহে এই গোষ্ঠীর ৩০০ জনকে ১ বছর তাদের জেলে রাখার জন্যে ৬ মিলিয়ন ডলার দেবে ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে মার্কিন জজ জেমস ই বোসবার্গ শনিবার এই নির্বাসনের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা সে সময় তাঁকে বলেছিলেন, অভিবাসীদের বহনকারী দুটি বিমান এরই মধ্যে আকাশে উড়ে গিয়েছে। একটি যাচ্ছে এল সালভাদর এবং অন্যটি হন্ডুরাসে। বিমানগুলি উড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া মাত্রই বিচারক মৌখিকভাবে সেগুলো ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। কিন্তু এখন বিমানগুলো এল সালভাদর ও হন্ডুরাসে এসে পৌঁছানোর পর এটা স্পষ্ট যে কর্তৃপক্ষ তাদের মৌখিক আদেশ মানেনি।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কি আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করেছে? হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এই অভিযোগের জবাব দিয়ে বলেন, প্রশাসন আদালতের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেনি। তবে এই আদেশের কোনও বিধিবদ্ধ ভিত্তি নেই। বিচারক যখন এই আদেশ জারি করেন, ততক্ষণে বিমানগুলো আকাশে উড়ে গিয়েছিল। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষজ্ঞদের নানা মত রয়েছে। জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি ল সেন্টারের অধ্যাপক স্টিভ ভ্লাদেক বলেন, বোসবার্গের আদেশে বিমানগুলিকে ফিরিয়ে আনার কথা উল্লেখ করা হয়নি, তবে তিনি মৌখিকভাবে এটি বলেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন আইনগতভাবে নিজেদের ন্যায়সঙ্গত প্রমাণ করতে পারে। তবে এটি নিশ্চিত যে তারা বিচারকের সিদ্ধান্তের মর্মকে লঙ্ঘন করেছে। ভ্লাদেক বলেন, এই ঘটনার পর যা হবে তা হল, এরপর থেকে সরকারকে কোনও রকমের ছাড় দেওয়ার আগে বারবার চিন্তাভাবনা করবে আদালত।