উত্তরাখণ্ডে তুষারধসের কবল থেকে আরও ১৪ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। এখনও খোঁজ মেলেনি আটকে থাকা অন্তত আট শ্রমিকের। তাঁদেরও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। উত্তরাখণ্ডের উদ্ধারকাজে নজর রেখেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীকে ফোন করে উদ্ধারকাজের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার দুপুরে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় বদ্রীনাথের কাছে মানা গ্রামে ধস নামে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ বিআরও-র শ্রমিকদের উদ্ধার করতে সেনার পাশপাশি পাঠানো হয়েছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী দলকেও। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হয়েছিল। দৃশ্যমানতা কমে আসায় হেলিকপ্টার অবতরণ করানো যাচ্ছিল না ঘটনাস্থলে।তবে শনিবার সকালে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতেই পুনরায় হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা হয়েছে।কয়েক ফুট জমে থাকা বরফের নীচে শ্রমিকদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া বিআরও-র শ্রমিকদের মধ্য জোশিমঠে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চামোলির জেলাশাসক সন্দীপ তিওয়ারি জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযানের জন্য চারটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে দুর্ঘটনাস্থল থেকে। তাঁদের মধ্যে সাত জনকে জোশিমঠে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁরা চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন এবং তিন জনের অবস্থা স্থিতিশীল।
মানায় তুষারধসে আটকে পড়া ৫৫ জন শ্রমিকের নামের তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে চামোলি পুলিশ। তালিকায় উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ১১ জন করে শ্রমিক রয়েছেন। এছাড়াও হিমাচল প্রদেশের সাত জন, জম্মু ও কাশ্মীরের এক জন এবং পাঞ্জাবের এক জন শ্রমিক রয়েছেন। বাকি ১৩ জন শ্রমিকের ঠিকানা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ওই ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনের নাম এবং আধার নম্বরও জানা যায়নি।
শুক্রবার দুপুরে বদ্রীনাথ থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে মানায় তুষারধস নামে। সেই সময় ওই এলাকায় কাজ করছিলেন বিআরও-র বেশ কয়েক জন শ্রমিক। গ্রামে তাঁদের একটি ক্যাম্পও ছিল। ওই ক্যাম্পের কাছেই তুষারধস নামে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৩২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। শনিবার সকালে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হতেই আরও ১৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।