এবার উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস(Uttarbanga Express) ট্রেনের ভেতর বিরাট বিপত্তি। উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের মিডল বার্থের চেন খুলে গিয়ে এক যাত্রীর মাথায় গিয়ে পড়ে। এর জেরে ওই যাত্রী একেবারে রক্তাক্ত হয়ে যায়। এদিকে কেরলেও কিছুদিন আগেই প্রায় একই ধরনের ঘটনার কথা শোনা গিয়েছিল। এবার বাংলাতেও হল সেই ঘটনা।
ফের রেলযাত্রীদের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে। কিছুদিন আগে ফাঁসিদেওয়ার কাছে ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছিল। সেই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার ট্রেনের কামরার মধ্য়েই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের থার্ড এসি কামরার ঘটনা। থার্ড এসি কামরায় ছিলেন এক ব্যক্তি। ৪১ ও ৪৪ নম্বর বার্থের মধ্যে তিনি ছিলেন। তিনি মিডল বার্থটি খোলার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় চেনটি তাঁর মাথায় কোনওভাবে এসে লাগে। তার জেরে তাঁর মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে। এদিকে রেলেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। রেলের অন্যান্য যাত্রীরা তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
তাঁকে স্টেশন মাস্টারের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
সূত্রের খবর, ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে শিয়ালদায় ফিরছিলেন ওই যাত্রী। শিয়ালদায় প্রবেশের ঠিক আগে মিডল বার্থের শিকলটি তার মাথায় খুলে পড়ে। এরপরই তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। ট্রেন থামলে সহযাত্রীরা তাঁকে স্টেশন মাস্টারের কাছে নিয়ে যান। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। প্রশ্ন উঠছে এক্ষেত্রেও কি বার্থের শেকলটা ঠিকঠাক করে লাগানো হয়নি? যার জেরে সেটা খুলে গেল।
এদিকে গত ১৬ জুন এর্নাকুলাম-হজরত নিজামউদ্দিন মিলেনিয়াম সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস যাওয়ার সময় তেলেঙ্গানার কাছাকাছি উপরের বার্থ ভেঙে যাত্রী সহ বার্থটি নীচের যাত্রীর উপর পড়ে। এর জেরে মারা যান তিনি।
যাত্রীদের একাংশের দাবি চেনটি লক থেকে খুলে যায়। আর সেটাই এসে লাগে যাত্রীর মাথায়। তার জেরে তিনি আঘাত প্রাপ্ত হন। তবে এই ঘটনায় রেলকর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। লকটি ঠিকভাবে লাগানো হয়েছিল কি না বা সেটা নিয়ে টানা হেঁচড়া করতে গিয়ে সেটা খুলে গিয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, শিয়ালদা স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। তবে রেলের তরফে তৎক্ষণাৎ কোনও চিকিৎসক মেলেনি। পরে সহযাত্রীদের উদ্যোগে কর্তব্যরত টিটিই