VHP Leader Arrested in Bangladesh। বাংলাদেশে গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব

Spread the love

বাংলাদেশে(Bangladesh) হিন্দুদের অধিকারের জন্যে কথা বলা চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু এখনও জেলে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা চালানো হচ্ছে। এই নিয়ে ভারত উদ্বেগও প্রকাশ করেছে এর আগে। আর এবার বাংলাদেশে গ্রেফতার হলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব ও বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। বাগেরহাটের চিতলমারী থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে বাংলাদেশি সংবাদপত্র জনকণ্ঠের রিপোর্টে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৫ মার্চ ভোর রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশের অভিযোগ, কপিল কৃষ্ণের মোবাইলে বিদেশি নাগরিকদের সাথে সন্দেহভাজন বৈঠকের ছবি ও কথোপকথনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই নাকি তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে বাইরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জড়ো হয়েছিলেন চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাতে। সেই জনতার ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই সংঘর্ষে এক আইনজীবী খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে ২১ জন হিন্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী যাতে মামলা না লড়েন, তার জন্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করারও অভিযোগ উঠেছিল।

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল ‘আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র’। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরও সেই দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার থামেনি। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছিল। ‘জুলাই বিল্পবের’ ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন সম্প্রতি। এই আবহে ভারতের রাস্তাতেও লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদে বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে এখানে। ভারত সরকারও একাধিক বিবৃতি প্রকাশ করে ওপারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাম্প্রতিক সময়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *