Viral: হোস্টেলের চাটনিতে ভেসে উঠল জীবন্ত ইঁদুর! রেগে আগুন হোস্টেলের ছাত্ররা

Spread the love

চাটনিতে ভাসছে আস্ত ইঁদুর। বিরক্তিকর কাণ্ড ঘটে গিয়েছে হায়দরাবাদের(Hydrabad) নামি ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে। খাবার রান্না করতে গিয়ে অবহেলা, নাকি নজরদারিতে গাফিলতি, কী কারণে রান্নাঘরে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে! উঠছে প্রশ্ন। রেগে আগুন নেটিজেনরা।

তেলেঙ্গানার(Telengana) সুলতানপুর জওহরলাল নেহেরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির একটি হোস্টেলর বড় ধরনের এই ঘটনা সামনে এসেছে। এখানকার রান্না করা ‘চাটনিতে’ই একটি ইঁদুর পাওয়া গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই, এটি হোস্টেল শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকে এমন অনেক ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, এই ধরনের অনেক খবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই বছরের শুরুর দিকে, একজন ব্যক্তি মুম্বই যাওয়ার সময় বারবিকিউ নেশনের ওয়ারলি আউটলেট থেকে অর্ডার করা নিরামিষ খাবারে একটি মৃত ইঁদুর খুঁজে পেয়েছিলেন। জুন মাসে, মুম্বইয়ের আরও এক বাসিন্দা অনলাইনে অর্ডার করা আইসক্রিমে একটি পেরেক দিয়ে গাঁথা একটি মানুষের আঙুল খুঁজে পেয়েছিলেন।

এমনাকি সম্প্রতি, গুজরাটের আহমেদাবাদের আরও একটি এমনই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেখানে, এক ব্যক্তি একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময় সাম্বারে ইঁদুর দেখতে পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। ক্রেতা হোটেল মালিকের কাছে বিষয়টি জানালে, কোনও লাভ হয়নি। তারপরে তিনি রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগও দায়ের করেছিলেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এরপর কর্তৃপক্ষ শুধু রেস্তোরাঁটিকে সিলগালা করেনি, খাদ্য নিরাপত্তার সমস্যা সমাধানের জন্য হোটেলটির মালিককে নোটিশও পাঠিয়েছে।

ভাইরাল ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে

এর একটি ভিডিয়োও ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। যেখানে, রান্না করা চাটনিতে একটি ইঁদুরকে রীতিমত চলাফেরা করতে, লাফাতে দেখা গিয়েছে ঘটনাস্থলে অনেক শিক্ষার্থীই নিজেদের ফোনে এই ভিডিয়ো রেকর্ড করেছে। সেই ভিডিয়োই এখন ব্যাপক ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রদের স্বাস্থ্য নিয়ে এখন আলোচনা জোরদার হয়েছে বললেই চলে। কলেজ জুড়ে এখন বিক্ষোভের পরিস্থিতি। বাড়ছে ক্ষোভ। ছাত্র ও বিআরএসভি কর্মীরা এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদের পরিকল্পনাও করছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বিবৃতি আসেনি।

রেগে আগুন নেটিজেনরা

নেটিজেনরাও এই অসাবধানতা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। একজন ব্যবহারকারী মশকরা করে লিখেছেন – এটি গরীব ইঁদুরের জন্য একটি সুইমিং পুলের মতো। অন্যজনের দাবি, ঠাট্টা তামাশা বন্ধ করুন। কর্তৃপক্ষের উচিত হোস্টেল পরিদর্শন করা এবং দায়িত্বে অবহেলা যাঁরা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন যে হায়দরাবাদের ৮০ শতাংশ রেস্তোঁরা একই খাবার রান্না করে। অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন- চাটনিতে ইঁদুর একেইবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক, এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। অন্য একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, মানুষের জীবন নিয়ে এভাবেই খেলা হয়। হোস্টেলগুলোকে কি এমন নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে গড়ে তোলা যায় নয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা এই ধরনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা না করে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে! খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনও উদ্বেগ থাকবে না, কোনও আপস থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *