Viral Photo । মাথায় হেলমেট পরে বিক্ষোভ দমনে ব্যস্ত! তার মধ্যেই সারমেয় প্রেম

Spread the love

গত ২৭ অগস্ট ছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’এর ডাকে নবান্ন অভিযান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেদিন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় সেদিন রাস্তায় দেখা যায় গার্ডরেল, থেকে কন্টেনার। একটা সময় পর ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে। একদিকে ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নর দিকে এগোনোর চেষ্টা, অন্যদিকে, পুলিশের রোখার চেষ্টা। শুরু হয় জলকামান চার্জ। টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটতে থাকে। হাওড়া ব্রিজ, বড়বাজার, সাঁতরাগাছি ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়। সেই সব ছবি সামনে আসতে থাকে। নবান্ন অভিযানের দিনে আরও এক ছবিও সামনে আসে। তা হল এক মহিলা পুলিশকর্মীর।

জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’ এর চিত্র সাংবাদিক অর্ণব চক্রবর্তীর লেন্সে ধরা পড়ে এক মহিলা পুলিশকর্মীর ছবি। যিনি নবান্ন অভিযানের দিনে, রাস্তার একপাশে পড়ে থাকা এক ছোট্ট কুকুরছানাকে নিজের হাতে খাওয়াচ্ছিলেন। উল্লেখ্য, হাওড়া সহ কলকাতার নানান প্রান্তে নবান্ন অভিযানের দিন দেখা যায়, ভয়াবহ ছবি। উত্তেজনা, মারপিট, আহত হয়ে মাটিতে পড়া, রক্তাক্ত অবস্থা, এই সমস্ত ছবি স্বভাবতই শহরের মন খারাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে! গত ৯ অগস্ট থেকে এই শহর উত্তাল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অন্দরে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে। তাঁর মৃত্যুতে নৃশংসভাবে তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। সঙ্গে রয়েছে ধর্ষণেরও অভিযোগ।

এই মৃত্যুতে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে তোলপাড় শহর থেকে গ্রাম। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। বাংলার ঘরে ঘরে কার্যত মন খারাপের রেশ। ‘জাস্টিস চাই’ এর দাবি তোলা মানুষ দিন গুনছেন বিচারের আশায়। এদিকে, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। রাজনৈতিক মতামত, পাল্টা মতামতে উত্তাল দেশ। তারই মাঝে নবান্ন অভিযানের দিনে ওই কুকুর ছানাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কর্মীর ছবি ওঠে। এই ছবি এই উত্তাল সময়ের সাপেক্ষে যেন অনেকটাই অন্যরকমের।

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অন্দরে তরুণী চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই উঠেছে নানান প্রশ্ন। মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম বারবার উঠে আসেত থাকে। তাঁকে লাগাতার জেরা করছে সিবিআই। তাঁর বাড়িতেও সদ্য সিবিআই পৌঁছেছে। সবমিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে এই ছবিটি নজর কাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *