Waqf JPC Report। ৪২৮ পৃষ্ঠার ওয়াকফ জেপিসি রিপোর্টের ২৮১ পৃষ্ঠা জুড়েই বিরোধীদের নোট

Spread the love

ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল বিষয়ক জেপিসি রিপোর্ট নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই বিরোধীদের তোপ দাগলেন সংশ্লিষ্ট যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল। সোমবার তিনি বলেন, বিরোধীরা একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মোট ৪২৮ পৃষ্ঠার রিপোর্টের মধ্যে ২৮১ পৃষ্ঠার একটি বিরুদ্ধে মতামত সম্বলিত নোটও জমা করেছেন তাঁরা।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়টি কথা বলার সময় জগজম্বিকা পাল রীতিমতো জোরগলায় জানান, তাঁরা সংশ্লিষ্ট সকল সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলার পরই ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন।

জগজম্বিকা বলেন, ‘ওঁরা (বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা) আগেও ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ওঁদের দাবি ছিল, এই বিল পাস হয়ে গেলেই নাকি সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হবে। ঠিক একইভাবে ওঁরা সারা দেশে কিছু এজেন্ডা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। এবং তুষ্টিকরণের পথে হাঁটছেন।…’

জগদম্বিকার দাবি, ‘জেপিসি-র লাগাতার চলা বৈঠকগুলিতে আমরা সকলকেই সাক্ষী হিসাবে ডেকেছি। তা সে ওয়াকফ বোর্ড হোক, কিংবা সংখ্যালঘু কমিশন, অথবা সরকারি আধিকারিক। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে, এমনকী ইসলামিক স্কলারদেরও ডাকা হয়েছে। আমরা তাঁদের সকলের কথা শুনেছি। আমরা ৪২৮ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট তৈরি করেছি। যা আমরা স্পিকারের কাছে জমা দিয়েছি।’

এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই জেপিসি চেয়ারম্যান জানান, ‘এই ৪২৮ পৃষ্ঠার রিপোর্টে আমরা একটার পর একটা ধারা ধরে ধরে সংশোধনীর আবেদন জানিয়েছি। তা ওয়েইসি সাহেব হোন, কিংবা নাসির হুসেন, অথবা অন্য কেউ – সকলেই তাঁদের বক্তব্য রেখেছেন। এরপর আমরা ওই সংশোধনীগুলির উপর ভিত্তি করে একটি ভোটাভুটি করি। এবং তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত মেনে নেওয়া হয়।’

জগদম্বিকা আরও জানান, আজ যাঁরা এই রিপোর্টের বিরোধিতা করছেন, বৈঠকে তাঁরা সকলেই উপস্থিত ছিলেন এবং ভোটাভুটিতেও অংশ নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘মোট ৪২৮ পৃষ্ঠার রিপোর্টের মধ্যে বিরোধীদের পক্ষ থেকে বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করে ২৮১ পৃষ্ঠার একটি নোট দেওয়া হয়েছে। আমরা যখন সংসদে এই রিপোর্ট পেশ করব, তখন তার মধ্যে এই বিরুদ্ধ মতামত সম্বলিত নোটটিও থাকবে। এখন, এর থেকে বেশি আর কোন উপায়ে সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষা করা যেতে পারে?’

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কবে ওই রিপোর্ট সংসদে পেশ করা হবে? জবাবে জেপিসি চেয়ারম্যান জানান, ‘যখন স্পিকার ওই বিষয়টি প্রস্তাব আকারে পেশ করবেন এবং তাতে বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটি সম্মতি দেবে, তখনই ওই রিপোর্ট সংসদে পেশ করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *