What is Silent Firing। কর্মীদের চাকরি খাচ্ছে AI

Spread the love

ভালো কাজ করলেও, হেনস্থা হচ্ছেন কর্মচারীরা। ইচ্ছা করেই তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন নিয়োগকর্তারা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন যে কর্মচারীরা নিজেরাই কাজ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। কোম্পানিকে সরাসরি বরখাস্ত করতে হচ্ছে না। কোম্পানির ভাবমূর্তিও ভালো থাকছে। কর্মী ছাঁটাই করার জন্য এমনই নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন কর্মকর্তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ার মতো, কর্পোরেট কর্মজীবনেও এখন নানান ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। কেউ চুপচাপ চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, কেউ কোম্পানির উপর অসন্তুষ্ট হয়ে একাধিক জায়গায় অনলাইনে চাকরির আবেদন করে বসছেন। কোন ক্যারিয়ার বেছে নেবেন, তা ঠিক করতে পারছেন না। এই দুই ট্রেন্ডকে ইংরেজিতে যথাক্রমে ‘কোয়াইট কুইটিং’ (quiet quitting) এবং ‘রেজ অ্যাপ্লাইঙ্গ (rage applying)’ বলা হচ্ছে। এই দুই ট্রেন্ডে এখন আবার যুক্ত হয়েছে ‘সাইলেন্ট ফায়ারিং (silent firing)’। অর্থাৎ আগে থেকে কিছু বুঝতে না দিয়েই অভিনব উপায়ে কর্মী ছাঁটাই করছে কোম্পানিগুলো।

রিপোর্ট বলছে, কর্মীদের জন্য শান্তিতে কাজ করাটা কঠিন থেকে কঠিনতম করে তুলছে কোম্পানিগুলো। চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে কাজ ছাড়ছেন অনেকেই।

একই ট্রেন্ড ফলো করছে অ্যামাজনও। প্রসপেরো ডট এআই-এর সিইও এবং ফাস্ট কোম্পানির লেখক জর্জ কৈলাস এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে অনেক কর্মী না চাইলেও অ্যামাজন কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিসে ফিরতে বাধ্য করছে। ফলস্বরূপ, একটি সার্ভে করে দেখা গিয়েছে যে এর দরুণ ৭৩ শতাংশ কর্মচারী চাকরি ছেড়ে দিতে চেয়েছেন।

অথচ বিভিন্ন স্টাডি দাবি করে যে রিমোট জব বা অফিসের বাইরে নিজের পছন্দের পরিবেশে বসে কাজই আসলে উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে পারে। তাছাড়া কর্মীদের টাকাও সাশ্রয় হয়। কিন্তু অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলি কোনোদিক বিবেচনা না করেই কর্মীদের অফিসে ফিরে যেতেই বাধ্য করছে। আসলে এইভাবে কর্মীদের বরখাস্ত না করেই তাঁদের কোম্পানি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

দাবি করা হচ্ছে, এমনই পরিস্থিতিতে, কর্মী কোম্পানি ছাড়তেই, তাঁর জায়গায় কাজ করতে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এআই-কে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প খরচেই কোম্পানির কাজ হয়ে যাচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে, মানুষের চাকরি খাচ্ছে মানুষেরই তৈরি এআই।এতটাও সহজ নয়। এমআইটির অধ্যাপক এবং অর্থনীতিবিদ ড্যারন অ্যাসেমোগ্লু বলেছেন যে আগামী ১০ বছরে চাকরির বাজারে মাত্র ৫ শতাংশে প্রভাব ফেলতে পারে এআই। এর দরুণ কর্মীদের কর্মজীবনে বড় অর্থনৈতিক পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। ব্লুমবার্গকে তিনিই বলেছিলেন যে কর্মীরা বর্তমানে যে কাজগুলি করেন তা সম্পূর্ণরূপে নিজের হস্তগত করার জন্য এআই এখনও যথেষ্ট উন্নত নয়। বিশেষত যখন সঠিক তথ্যের প্রয়োজন হয় বা জটিল কাজের দরকার পড়ে, তখন কর্মীরাই সেরা অপশান।

ডিপ্রেশনে কাজ হারাচ্ছে নতুন প্রজন্ম

এআইয়ের পাশাপাশি আরও একটি নতুন উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগ কর্মীই নিজেদের কাজে খুশি নন। ডিপ্রেশনে ভুগে কর্মজীবনে উন্নতি হচ্ছে না তাঁদের। ইংরেজিতে একে ‘গ্রেট ডিটাচমেন্ট’ বলা হয়। ডেটা অনুযায়ী, নতুন প্রজন্মের কর্মীদের ১০ জনের মধ্যে অন্তত ৩ জন তাঁদের চাকরি নিয়ে খুশি নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *