বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এই সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল COPD অর্থাৎ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ। এটি একটি ফুসফুসের রোগ যা বায়ু প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে। এই সমস্যায়, যদি আপনার ফুসফুসে প্রদাহ, ফোলাভাব বা জ্বালা হতে থাকে, তবে এটি এই সমস্যার লক্ষণ। বিশ্ব ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ দিবস প্রতি বছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় বুধবার পালিত হয়। সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটি পালিত হয়। এই সমস্যার লক্ষণ এবং ঝুঁকির কারণগুলি জানুন-
সিওপিডি লক্ষণ
– শ্লেষ্মা সহ অবিরাম কাশি। এই ধরনের কাশিকে ধূমপায়ীর কাশি বলা হয়।
– শ্বাসকষ্ট। বিশেষ করে শারীরিক কার্যকলাপের সময়।
– ঘন ঘন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ।
– শ্বাসকষ্ট এবং বুকে শক্ত হওয়া
– ক্লান্তি এবং ব্যায়াম করার ক্ষমতা হ্রাস
– সায়ানোসিস। এই সমস্যায় অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় ঠোঁট বা নখ নীল হয়ে যেতে পারে।
সিওপিডির কারণ ও ঝুঁকির কারণ
ধূমপান
COPD এর প্রধান কারণ হল ধূমপান। এটি সরাসরি ফুসফুসের টিস্যুর ক্ষতি করে এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ সৃষ্টি করে। সক্রিয় ধূমপান বা এর সংস্পর্শে সিওপিডি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
দূষণ
বায়ু দূষণ, ধুলো, ধোঁয়া এবং কিছু রাসায়নিকের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব COPD এর তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বয়স এবং লিঙ্গ
COPD সাধারণত 40 বছরের বেশি মানুষের মধ্যে ঘটে। বিভিন্ন ধূমপানের ধরণ এবং ছোট ফুসফুসের জন্য মহিলাদের মধ্যে এর প্রকোপ কিছুটা বেশি।
শৈশবে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ
প্রাথমিক দিনগুলিতে গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে এবং পরবর্তীতে COPD হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
কীভাবে COPD প্রতিরোধ করা যেতে পারে?
সিওপিডি প্রতিরোধে ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষা করা জরুরি। এছাড়াও আপনার জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এর জন্য-
- ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
- দূষণের থেকে দূরে থাকুন।
- শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখতে শ্বাসের ব্যায়াম নিয়মিত করুন।