ইউক্রেনের একটা বড় অংশ রাশিয়া দখল করে রেখেছে। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ যেন থামার কোনও নাম নেই। এই আবহে ইউক্রেন আমেরিকার থেকে যে সাহায্য পেয়ে আসছিল, তাও বন্ধের পথে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার পরে ইউক্রেনে ইউএস এইড-এর সাহায্য বন্ধ করা হয়েছে। এই সবের মাঝে এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিলেন, সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে ‘জমি অদলবলদে’ সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে। তাতে বন্ধ হতে পারে এই যুদ্ধ।
মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে ভোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, আমেরিকার সাহায্য ছাড়া ইউক্রেনকে রক্ষা করতে পারবে না ইউরোপ। এদিকে জেলেনস্কি বলেন, ‘যদি আলোচনার টেবিলে বসি, তাহলে রাশিয়াকে একটি এলাকা ফেরানোর বদলে দখল জমি ফেরত চাইব।’ উল্লেখ্য, কার্স্ক এলাকাটি ইউক্রেনের দখলে আছে। জেলেনস্কি সেটাই রাশিয়াকে ফিরিয়ে দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের সমাধান সূত্র খুঁজছেন। এদিকে রাশিয়াকে কার্স্ক ফিরিয়ে দিলে বদলে কোন দখল হওয়া এলাকা ফেরত চাইবে ইউক্রেন? এই নিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘এখনও তেমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ইউক্রেনের জন্যে তাদের সব এলাকাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার সম্প্রতি দাবি করেছেন, ‘ইউক্রেন কোনও এক সময়তে রাশিয়ারই হয়ে যেতে পারে।’ উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষপূর্তি হতে চলেছে আর কয়েকদিনে। এরই মাঝে ফক্স নিউজে এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেন কোনও চুক্তি করতেও পারে, নাও করতে পারে। তারা কোনও এক সময়ে রাশিয়ার হয়ে যেতে পারে, আবার নাও হতে পারে।’ ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরই ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনের উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়ার অংশ হতে চায়। তাঁর কথায়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যকেই ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি প্রতিফিত হচ্ছে।’ এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত কেইথ কেলগকে শীঘ্রই কিয়েভে পাঠানো হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্যে একটি রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেইথের বিরুদ্ধে।