এক কোটি টাকা ব্যয়ে শিলিগুড়িতে তৈরি হচ্ছে প্রথম ফুড লেন

Spread the love

বাঙালি খাদ্যরসিক সেটা সবাই জানেন। কিন্তু এই আমবাঙালির জন্য যে ফুড লেন হতে চলেছে তা অনেকেরই অজানা। এই ফুড লেন নির্মাণের জন্য জোরকদমে চলছে কাজ। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় করে শিলিগুড়িতে তৈরি হচ্ছে প্রথম ফুড লেন। আগামী অগস্ট মাসের মধ্যেই এই ফুড লেন চালু হয়ে যেতে পারে বলে সূত্রের খবর। শিলিগুড়ি পুরনিগমের বাজেটেই এই ফুড লেন গড়ে তোলার কথা ঠিক হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ২০টি স্টল বসানো হয়েছে। যেগুলিতে রং করে সেখানে ছবি আঁকার কাজ চলছে। শিলিগুড়ির এসএফ রোডে দমকল কেন্দ্রের বিপরীতে এই ফুড লেন হচ্ছে।

এখানে নানা ধরণের খাবার মিলবে। তাও সুলভে। উত্তরবঙ্গে যাঁরা বেড়াতে আসেন তাঁরা শিলিগুড়িতে এই স্টলে খেয়ে যেতে পারবেন। পর্যটকরা পাহাড়ে যাওয়ার আগে সমতল শিলিগুড়িতে বাহারি খানার স্বাদ নিতে পারবেন। আবার দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, সিকিম, গ্যাংটক, লাভা লোলেগাঁও থেকে ফিরে ট্রেন ধরবেন তাঁরা এখান থেকে খাবার প্যাক করিয়ে নিতে ট্রেনে সফর করার সময় খেতে পারবেন। এমনকী এখানে স্টল থাকার পাশাপাশি যাঁরা খেতে আসবেন তাঁদের জন্য বসার ব্যবস্থাও থাকছে। এই পরিষেবা পেয়ে পর্যটকরা ভীষণ খুশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের উদ্যোগে গোটা বিষয়টি করা হচ্ছে।

হাওড়া এবং শিয়ালদা থেকে এনজেপি আসে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। রাত কাটিয়ে সকালে এখানে নামেন বিপুল পরিমাণ পর্যটক। তাই তাঁদের খিদে পেয়ে যায়। তখন তাঁরা এই স্টল থেকে ইচ্ছেমতো খাবার খেতে পারবেন। কম দামে ভাল মানের খাবার তুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের পাতে। তারপর তাঁরা বেরিয়ে পড়বেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নিজেদের মেলে ধরতে। এসএফ রোডে কিছু ফুলের দোকানের সামনে স্টলগুলির রাখার জন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। স্টলের জন্য দোকান ঢাকা পড়ে যাওয়ায় ক্ষতি হবে বলে অভিযোগ। এখানে মেয়র কাজ দেখতে এলে তাঁরা তাঁকে বিষয়টি জানান। কোনও ব্যবসায়ীর ক্ষতি করে কিছু করা যাবে না বলে জানান মেয়র।

এখানে চারিদিকে গাছ লাগানো হবে। তাতে একটা সৌন্দর্য তৈরি হবে। সন্ধ্যেবেলায় নানা বাহারি আলো লাগানো থাকবে। তাই নতুন করে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও স্টলগুলি কীভাবে বিক্রেতাদের দেওয়া হবে সেটা এখনও ঠিক করা হয়নি। নির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন তৈরি করে এই স্টল বিলি করা হবে। এই বিষয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‌শিলিগুড়ির এই ফুড লেন রাজ্যে একদিন মডেল হবে। এখানে স্টল যেমন থাকছে তেমন থাকছে বিশেষ ধরণের খানাপিনাও। এই কারণে গোটা এলাকাকে এখন সাজানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই কাজ সম্পূর্ণ করে স্টল বিলি করা হবে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *